গোসল

ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের উপকারিতা-অপকারিতা

উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে, বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে গরম পানির চেয়ে ঠাণ্ডা পানিতে গোসলকে প্রধান্য দেওয়া হয়। বলা হয় এর উপকারিতা বেশী। আবার অনেকে বলেন গরম পানিতে গোসল, বিশেষ করে শীতকালে ভাল ফল দেয়। এভাবে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল নিয়ে পরস্পরবিরোধী মত প্রচলিত আছে। নিচে ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের উপকারিতা-অপকারিতা আলোচনা করা হল—

ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের উপকারিতা গরম পানির কারণে ত্বকে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়, অন্যদিকে ঠাণ্ডা পানি রক্তকে শরীরের অঙ্গ পর্যায়ে নিয়ে যায়। তখন শুধু ত্বকই নয় ভাল থাকে না, রক্ত চলাচল বাড়ায় হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য অঙ্গও ভাল থাকে। ঠাণ্ডা পানি শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে গরম প্রতিরোধ করে।

রক্ত চলাচলে ইতিবাচক ভূমিকার কারণে শুধু হৃদপিণ্ড নয়, এর কারণে খুব সহজে ধমনী বেয়ে শরীরের প্রতিটি অংশে রক্ত ছড়িয়ে যায়। ফলে রক্তচাপ কমে ও ব্লক হওয়া ধমনীতে রক্ত চলাচল বাড়ে। সর্বোপরি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। ঠাণ্ডা পানি শুধু শরীরের বাইরের দিক ও ত্বক পরিষ্কারই করে না, ভেতর থেকেও পেশিকে পরিষ্কার করে। এর ফলে শরীর টক্সিন মুক্ত হয়।

ত্বক ও মাথার তালুতে জমে থাকা ময়লাকে দূর করে ঠাণ্ডা পানি। যার ফলে ত্বকের ছিদ্র খুলে যায়। ঠাণ্ডা পানি চুলকে আরও শক্ত, সবল ও উজ্জ্বল করে। এ ছাড়া সানবার্ন ও জ্বালাপোড়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের অপকারিতা ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের অপকারিতা খুব একটা নেই। তবে নারীদের ঋতুস্রাবকালে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল না করাই ভাল। এ সময় পেশির রিলাক্স দরকার হয়, কিন্তু ঠাণ্ডা পানি পেশিকে জড়োসড়ো করে তোলে। তারপরও ঠাণ্ডা পানিকে যদি আপনার শারীরিক কোনো সমস্যার কারণ মনে হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শেয়ার করুন: