পিরিয়ড

পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো কি ঠিক?

পিরিয়ডের সময় কারও শরীর ম্যাজম্যাজ করে, অনেকের তলপেট-ঊরুতে চিনচিনে ব্যাথা হয়। এসব অস্বস্তি নিয়ে অনেকে মনের চাঙ্গা ভাব হারিয়ে অবসাদে ভোগেন; আবার কারও পিরিয়ডই হয় অনিয়মিত। আবার অনেকে তো এমন সময়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

অনেকে মনে করেন, পিরিয়ড চালাকালীন শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো ঠিক নয়। যদিও কেন ঠিক নয় বা করলে কী সমস্যা হতে পারে, সে উত্তর আপনি পাবেন না। চলুন, আপনার মনে আসা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেয়া যাক-

ভুল ধারণা- ১: ব্যথা বেশি লাগে: পিরিয়ড হলে পেটে ক্র্যাম্প কম-বেশি অনেক মেয়েরই হয়। তা যদি সহ্য করার ক্ষমতার থাকে, তাহলে চিকিৎসকরা এটি নরমাল বলেই মানেন। ঋতুস্রাব প্রাকৃতিক লুব্রিক্যান্ট হিসেবে কাজ করে, তাই শারীরিক সম্পর্ক নিঃসন্দেহে খুব আরামদায়ক হয়ে ওঠে।

ভুল ধারণা- ২: সহবাসের বাসনা থাকতেই পারে না: এটাও ভুল। পিরিয়ডের সময়ে শরীরে হরমোনের তারতম্যের ফলে সহবাসের আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে পৌঁছায়। তাই আপনি বা আপনার সঙ্গী এই সময় শারীরিক সম্পর্ক স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন, তাহলে করতে পারেন।

ভুল ধারণা- ৩: বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা: অনেকে মনে করে, এই সময়ে শারীরিক সম্পর্কের ফলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিন্তু একথা খানিকটা ভুল। বরং, এই সময় সন্তান সম্ভাবনার আশঙ্কা কম থাকে। তবে একেক নারীর ওভুলেশন সাইকেল একেকরকম। তাই এই ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার মাসিক ঋতুচক্রের বেশ কয়েকটি তারিখ বললেই তিনি হিসেব কষে বের করে দিতে পারবে আপনার সেফ দিনগুলো।

ভুল ধারণা- ৩: পিরিয়ডসের সময় কনডম দরকার নেই: এটা একেবারেই ভুল। বরং এই সময় মেয়েদের যৌনরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ সরাসরি বডি ফ্লুইডের সংস্পর্শে আসা হয় এই সময় এবং হেপাটাইটিস বা এইচআইভিসহ সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড অসুখের আশঙ্কা বাড়ে। তাই নিরাপদ যৌনতার জন্য কনডম ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন: