কাজু বাদাম

বাদাম যেভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে

অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে অনেকেরই দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ওজন কমাতে তাইতো তারা নানা রকম ডায়েটও অনুসরণ করেন। অনেকেই ডায়েট ফুড হিসেবে বাদাম খেয়ে থাকেন। কারণ তাদের ডায়েট চার্টে বাদাম থাকেই থাকে। যা শরীরে শক্তি যোগাতে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরাও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে ওজন কমাতে বাদাম কীভাবে কাজ করে কিংবা কোন বাদাম খেলে ওজন দ্রুত কমে? এমন প্রশ্ন সবার মনেই ঘুরপাক খায়।

শুকনো ফল অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পরিপূর্ণ রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যারা বাদাম খান, তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও স্থূলতার ঝুঁকি রোধ করে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কীভাবে বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং কোন বাদাম ডায়েটে রাখবেন-

চিনাবাদাম: এই বাদামে আছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিউনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। যা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমায়। চিনাবাদাম শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। এছাড়াও দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে স্ন্যাকস হিসেবে সঙ্গে রাখতে পারেন চিনাবাদাম। এটি সহজলভ্য বলে সবার কাছেই এই বাদামের কদর বেশি।

আমন্ড বা কাঠবাদাম: কাঠবাদাম পুষ্টির পাওয়ারহাউস। শুধু ওজন কমাতেই নয়, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে কাঠবাদাম দৈনন্দিন ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে ওজন কমে যায়, বিপাকীয় হার বৃদ্ধি পায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল বন্ধ হয় এবং খারাপ লিপিড স্ট্রেন কমে যায়। একমুঠো কাঠবাদাম ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে এবং পেটের চর্বি ও সামগ্রিক বডি মাস ইনডেক্স কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদামে প্রচুর মনোঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবার থাকে।

আখরোট: আখরোট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য সুপরিচিত। তবে জানেন কি, আখরোটে এএলএ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, হজমে উন্নতি করে এবং শরীরে চর্বি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। আখরোটে থাকে প্রচুর প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন। আখরোট খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। আখরোটের পুষ্টি মস্তিষ্কে রাসায়নিক সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়, যা ক্ষুধার অনুভূতি কমায়। অতিরিক্ত সুবিধার পেতে আপনি সারারাত আখরোট ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন।

শেয়ার করুন: