মরিয়ম ফুল জন্মে মরু অঞ্চলে। মধ্যপ্রাচ্য ও সাহারার বিস্তীর্ণ মরু অঞ্চলে বছরের পর বছর শুকনো গাছ মাটি আঁকড়ে থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Anastatica hierochuntica । মরুভূমির অসহনীয় গরমের মধ্যে থাকা শুকনো এই গাছ ক্রমে নির্জীব পাথরের মতো হয়ে পড়ে।
কখনো বৃষ্টির পরশ পেলে জীবন ফিরে পায় এবং এর বংশবিস্তার ঘটে। এই গাছের ফুলে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা ও লোহা। বিশেষত, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম একসঙ্গে পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। এর কোনো নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
অনেকে হজের সময় সঙ্গে মরিয়ম ফুল নিয়ে আসেন। আবার মরিয়ম ফুলের পাপড়ি ভিজিয়ে রেখে সেই ফুলের পানি পান করলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কথা সমাজে প্রচলিত। এটি কুসংস্কার। কোরআন ও হাদিসে মরিয়ম ফুলের কার্যকারিতা প্রমাণিত নয়। আর এটি একটি শারীরিক চিকিৎসার বিষয়, যা ওহির ওপর নির্ভর করে না; বরং তা পরীক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জানা সম্ভব। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে যদি এই ফুলের ঔষধি গুণ প্রমাণিত হয়, তাহলে তা ব্যবহার করতে অসুবিধা নেই। কেননা রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেক রোগের ওষুধ আছে। যখন তা ব্যবহার করা হয়, আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। ’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ২২০৪)
অপর বর্ণনায় হজরত জাবের (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় একদল গ্রাম্য লোক এসে চিকিৎসা বিষয়ে প্রশ্ন করলে রাসুল (সা.) বলেন, কোনো বিজ্ঞ ডাক্তার স্বীয় অভিজ্ঞতার আলোকে জায়েজ পদ্ধতিতে কোনো রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করা যাবে। (জাদুল মাআদ : ১/১০,২৪)
আর হ্যাঁ, এই গাছের ফুলে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা ও লোহা। বিশেষত, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম একসঙ্গে পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ঔষধি গাছ হিসেবে চিকিৎসার জন্য এই ফুল থেকে উপকৃত হতে বাধা নেই।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৭ মে ২০২২, ৭:১১ অপরাহ্ণ ৭:১১ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…