ক্যাটেগরীজ: জাতীয়

কল্পনার রঙে সাজছেন দুর্গা

চলতি বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে হবে দুর্গা পূজা। গত বছরের চেয়ে এবার পূজার সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজা হবে ২৩৮টি, যা গত বছরের চেয়ে ৪টি বেশি। মঙ্গলবার সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে পূজার সংখ্যা বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আস্থা, সরকারি অনুদান ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান নিঃসন্দেহে পূজার সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে বলা যায়।’

আগামী বুধবার (৬ অক্টোবর) মহালয়ার পিতৃপক্ষের সমাপ্তিতে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ১৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। গত ৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠকের পর ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে,মণ্ডপে আগত পূজারি, দর্শনার্থী ও ভক্তদের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। নারী-পুরুষের জন্য পৃথক যাতায়াত ব্যবস্থা রাখতে হবে। পূজা মণ্ডপে জনসমাগম পরিহার করতে মেলা, আলোকসজ্জা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা করা যাবে না। প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা পরিহার করতে হবে।

এছাড়া দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মন্দিরে বা মণ্ডপে এলে সংশ্লিষ্ট থানাকে আগেই অবহিত করতে হবে। নির্মল কুমার চ্যাটার্জি জানান, এ বছর প্রধানমন্ত্রী দুর্গা পূজা উপলক্ষে ৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন, যা গত বারের চেয়ে ১ কোটি টাকা বেশি।

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ

শারদীয় দুর্গোৎসবের আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করলেও সাম্প্রদায়িক শক্তি নানা অজুহাতে নানাভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। সকল ক্ষেত্রেই দলীয় আদর্শ বিসর্জন দিয়ে অনেকেই এসব সংঘবদ্ধ আক্রমনে সামিল হচ্ছেন।

আসন্ন দুর্গাপূজার প্রাক্কালে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর, চাঁদপুরের কচুয়া, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে মাথা নত করলে একসময় এরা রাষ্ট্রের মৌলিক অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। আমরা কেউ চাইব না, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ সরকার অপশক্তির কাছে মাথা নত করবে।’

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৬ অক্টোবর ২০২১, ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ