লকডাউনের কারণে অনেকেই বাড়িতে বসে কাজ করছেন। ঠিক মতো শরীরচর্চাও হচ্ছে না। এ কারণে ওজন বেড়ে যাচ্ছে দ্রুত। কী ধরনের খাবার খাদ্যাভ্যাসে রাখলে এই বিপত্তি এড়ানো যাবে, এ রকম ভেবে অনেকেই কম ক্যালরি যুক্ত খাবার খুঁজছেন।
তবে অন্য খাবারের তুলনায় ওজন কমাতে স্মুদি বেশ উপকারী। এটি শুধু স্বাস্থ্যকরই নয়, খেতেও সুস্বাদু। কয়েক ধরনের স্মুদি আছে যেগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে মাত্র কয়েক সপ্তাহেই ঝরিয়ে ফেলা যায় অতিরিক্ত মেদ। যেমন-
স্ট্রবেরি, ওটস ও চিয়াসিডের স্মুদি: পেটের মেদ ঝরাতে স্ট্রবেরির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে থাকা ফাইবার ওজন ঝরাতে সহায়তা করে। এতে ক্যালরির পরিমাণও খুব কম। ওটস খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়।
ফলে ঘন ঘন খাওয়ার প্রবণতা কমে। সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সহায়তা করে ওটস। চিয়াসিডে রয়েছে এমন ধরনের ফাইবার, যা শরীরের ক্লান্তি কাটায়। স্ট্রবেরি স্মুদিতে চিয়া সিড মেশালে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
কমলা-লেবু, ফ্ল্যাক্সসিডের স্মুদি: কমলার রসে ক্যালরি খুবই কম, এমনকি ফ্যাটও থাকে না। এই ফল ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারাটেনয়ডে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ বার করে দেয়। অন্য দিকে এই স্মুদির অন্যতম উপাদান ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে এমন ফাইবার, যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরে রাখতে সহায়তা করে।
সহজে ক্ষুধা অনুভূত হয় না। এছাড়াও এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এটি শরীরের অপ্রয়োজনীয় মেদ জমায় বাঁধা দেয়। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
শসা, তরমুজ ও জিরার স্মুদি: শসাতে একটুও ফ্যাট নেই। এতে ক্যালরিও খুব কম থাকে। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শসা খুব উপকারী। এ ছাড়া শসাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বিপাকের হার বাড়িয়ে ওজন ঝরাতে সহায়তা করে।
তরমুজও কম ক্যালোরিযুক্ত ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি শরীরের জন্য উপকারী। এই ফল খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ঝরবে। জিরা শরীরের হজমশক্তিকে বাড়ায় এবং খিদে মেটায়। তাই ওজন ঝরাতে এই উপাদানের স্মুদি খুবই কার্যকর।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় জুলাই ৩, ২০২১ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাজ্যের ৯৫ বছর বয়সী কৃষক জেমস স্টিল তার হাতে থাকা দামি রোলেক্স ঘড়িটি হারিয়ে ভেবেছিলেন,…
হোমিওপ্যাথিক মাদার টিংচার আলফালফা (Alfalfa Mother Tincture) মূলত Medicago sativa নামক আলফালফা উদ্ভিদ থেকে তৈরি…
আমাজন রেইনফরেস্টকে সাধারণত "পৃথিবীর ফুসফুস" বলা হলেও, সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই ধারণাটি অতিরঞ্জিত প্রমাণিত হয়েছে।…