রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীকে ‘উজবুক মন্ত্রীদের’ কথা না শুনতে বললেন জাফরুল্লাহ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কবর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ঢাকা সফরকে ‘কালো মেঘ’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ আহ্বান জানান।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এনডিপির চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও-এর সভাপতি কেএম রাকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বর্তমানে এক লাখের বেশি ব্যক্তি জেলে আছে। ব্রিটিশ আমলেও এত মানুষ জেলে ছিল না, পাকিস্তান আমলেও না। ঢাকার কাশিমপুর বলেন আর কেরানীগঞ্জ বলেন, সেখানকার হাসপাতালে একটা ইসিজি মেশিন নেই, ভেন্টিলেটর নেই। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার বাবা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে ও কারাগারের এ হাসপাতালগুলোর দুরাবস্থার কথা বলে গেছেন। আপনি তো আসলে আমাদের ছোট করছেন না, আপনার বাবাকে ছোট করছেন। আমাদের নেতাকে ছোট করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনাকে আমি বলছি- আপনি এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে অবশ্যই কবর দিয়ে দেন। এত যে সরকারি অর্থ লুট হয়েছে, একটা মামলা এ পর্যন্ত করেননি। দেশে অনেক আইন আছে, এ আইনের সংশোধন করে কোনো লাভ নেই। এ আইনের সংশোধন প্রতারণা হবে, আর কতদিন প্রতারণা করে চলবেন। তিনি বলেন, আপনার উজবুক মন্ত্রীদের কথা না শুনে এ আইনটি বাতিল করেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়েছিল তখন চাটুকাররা কোথায় ছিল? অজানা ঘটনা ঘটলে আপনার ড. হাছান মাহমুদ বলেন আর আনিসুল হক বলেন এদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, একটা কার্টুনিস্ট কার্টুন একে ব্যঙ্গ করে দেশের কী ক্ষতি করতে পারে তাকে দশ মাস জামিন দেননি। লেখক মুশতাক আহমেদের কথা আপনারা বলছেন তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু কাউকে যদি আপনারা চিকিৎসা না দেন তাহলে সেটাকে কী স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যাবে?

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। আজকে জয়শঙ্কর এসেছেন, সেই গৎবাঁধা কথা বলছেন, বিনা বিচারে মারা হবে না। কিন্তু ফেলানী হত্যার বিচার কি করেছে? প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে। আজকে কানেক্টিভিটি মানেটা কি? গুজরাটের পণ্য আসামে যেতে পারে না, সেটা আমার ওপর দিয়ে সুলভে (স্বল্প খরচ) যাবে। আর আমরা আমাদের বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীন করা দেশটা তাদের জন্য ছেড়ে দেব।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৬ মার্চ ২০২১, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ ৮:৫৭ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ