সচিবালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার পদকে (এওপিও) উপসহকারী সচিব হিসেবে নামকরণ করার দাবি জানানো হয়েছে। ১০ নভেম্বর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন জনপ্রশাসন সচিবের কাছে লিখিতভাবে এ দাবি পেশ করেন।
সচিবালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার পদকে (এওপিও) উপসহকারী সচিব হিসেবে নামকরণ করার দাবি জানানো হয়েছে। ১০ নভেম্বর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন জনপ্রশাসন সচিবের কাছে লিখিতভাবে এ দাবি পেশ করেন।
এদিকে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সচিবালয়ে কর্মরত বেশির ভাগ এওপিও এ দাবির প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। কয়েকজন এওপিও বলেন, ২২ বছর আগে ১৯৯৮ সালে তাদের পদকে আপগ্রেড করা হয়। কিন্তু এরপর তাদের ন্যায্য অনেক দাবি উপেক্ষিত থেকে গেছে।
লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দুটি পদই দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও মর্যাদার দিক থেকে সমান। তা সত্ত্বেও নিজেদের এগিয়ে রাখার প্রতিযোগিতায় সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা ও পদোন্নতির কোটা নিয়ে প্রায়শ সমস্যা দেখা দেয়।
তাই গুরুত্ব বিবেচনায় ও নিজেদের মধ্যে বিভেদ লাঘবের জন্য এ দুটি পদকে একীভূত করে উপসচিব সহকারী সচিব করা যেতে পারে। শুধু পদবি পরিবর্তন হবে। এর সঙ্গে নতুন করে কোনো আর্থিক সংশ্লেষ থাকবে না।
তাছাড়া এ পদ থেকে ভবিষ্যতে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া আরও সহজ ও গ্রহণযোগ্য হবে।
কয়েকজন তরুণ এওপিও বলেন, শুধু জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি না দিয়ে যারা সব দিক থেকে অধিকতর যোগ্য ও দক্ষ তাদের অগ্রাধিকার দিলে প্রশাসনে আরও গতিশীলতা আসবে।
এজন্য বিদ্যমান পদোন্নতি বিধিমালা সংশোধন করা হলে বেশিরভাগ এওপিও সন্তোষ প্রকাশ করবেন। কেননা, বিগত ১০-১২ বছর ধরে যারা দ্বিতীয় শ্রেণির এ পদে সরাসরি যোগ দিয়েছেন তাদের ৯০ শতাংশ হয় বিসিএস উত্তীর্ণ তালিকা থেকে এসেছেন, না হয় তাদের অনেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিলেন। নানা কারণে তারা ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিতে না পারলেও তাদের সহপাঠীদের অনেকে ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন দফতরে কর্মরত।
ফলে এ রকম সমমানের যেসব কর্মকর্তা দ্বিতীয় শ্রেণির পদে যোগ দিয়েছেন তাদের উপসহকারী সচিব করা হলে প্রশাসনের মর্যাদা আরও সুসংহত হবে।
অনেকে এও মনে করেন, পিএসসির মাধ্যমে যারা সরাসরি দ্বিতীয় শ্রেণির পদে চাকরি ১০ বছর পার করেছেন তাদের প্রথম শ্রেণির পদে পদোন্নতি দেয়া একেবারে সময়ের দাবি।
এদিকে এ আবেদনে এওপিওদের জন্য অফিস যাতায়াতে দফতরের মাইক্রোবাস ব্যবহারের প্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানানো হয়।
যদি আপাতত সেটি সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল কিনতে বিনা সুদে ৩ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে মোটরবাইক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসিক ৫ হাজার টাকা ভাতা দেয়ার দাবিও জানানো হয়।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৬ নভেম্বর ২০২০, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…