আইন-আদালত

আদালত স্থানান্তরের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার রিট শুনানি মঙ্গলবার

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারকাজ কেরানীগঞ্জ আদালতে স্থানান্তরের বিরুদ্ধে রিটের শুনানি মঙ্গলবার (১১ জুন) অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৭ মামলার বিচারকাজ কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে করার সরকারি আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে এ রিট আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গত ২১ মে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু তার কোনো জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করেন।

আইন সচিবকে দেয়া আইনি নোটিশে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেকোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত

হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মূলতবি করা হলে তা শেষ হচ্ছে আজ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে আছে ৫টি। সেগুলো হলো জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ,নাইকো, গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলা। মামলাগুলো সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে (এক-এগারোর সময়) করা।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার আট মাসের মাথায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট

দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া সেই থেকে কারাগারে আছেন। ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন। বর্তমানে বিশেষ এজলাসে ১৭টির মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

অন্য ২৯টি মামলা ২০১৪ সালের পর বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। মূলত রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা, ইতিহাস বিকৃতি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি, ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে এসব মামলা হয়। পুলিশ, সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও আইনজীবীরা এসব মামলা করেছেন। এর মধ্যে ২৫টি মামলা হয়েছে ঢাকায়। কুমিল্লায় তিনটি এবং পঞ্চগড় ও নড়াইলে একটি করে মামলা রয়েছে।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১০ জুন ২০১৯, ১২:৫২ অপরাহ্ণ ১২:৫২ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ