রাজনীতি

ডাকসু’র আজীবন সদস্য হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্য পদ দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার ডাকসু ভবনের দ্বিতীয়তলার হল রুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ডাকসু’র সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী সভায় এই পদ দেয়া হয়।

ডাকসু’র সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসু’র আজীবন সদস্য করা হয়। এ ছাড়া সভায় চলতি ২০১৯-২০ বছরের ডাকসু’র বার্ষিক বাজেট সর্বমোট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবারের সভায় ২ জানুয়ারি ১৯৭৩ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসু’র আজীবন সদস্য পদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবুল হাসান রাকিব। পরে কার্যনির্বাহী সভায় এ প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ সময় স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বাস দেন ডাকসু’র সভাপতি ড. আখতারুজ্জামান।

সভায় ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টও উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কোনো কারচুপির ঘটনা ঘটেনি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অভিযোগকারী কতিপয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী রোকেয়া হলে ‘ব্যালট-বাক্স’ এবং ‘ব্যালট পেপার রক্ষিত ট্রাঙ্কের’ মধ্যে তফাৎ বুঝেনি এবং কিছু গণমাধ্যমও এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। একেবারেই ভুল বুঝাবুঝির জন্য এ ধরনের একটি পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছিল।

এতে আরও বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী কোথাও একাধিকবার ভোট দিয়েছেন বা একজনের ভোট অন্যজনে দিয়েছেন বা কোনো শিক্ষার্থী ভোট দিতে চেয়েছেন কিন্তু পারেননি এমন সব ঘটনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে ধীরগতি (স্লথ) আনার জন্য দু’একটি ভোটকেন্দ্রে কৃত্রিমভাবে দীর্ঘলাইন করা হয়েছে এবং ভোট কেন্দ্রের বাইরে শিক্ষার্থী-ভোটারদের মাঝে অযাচিত কিছু বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসবের কারণে ভোট প্রদান ও ভোট গ্রহণের সার্বিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়নি এবং ভোটের ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়েনি। তাই এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি যুক্তিসঙ্গত নয়।

ভবিষ্যতে ডাকসু নির্বাচন সর্বাঙ্গীন সুন্দর করার জন্য ভোট প্রদানে অমোচনীয় কালি ব্যবহার, ব্যালট পেপারে সিরিয়াল নম্বর রাখা এবং ভোট প্রদান ও গ্রহণে আরও স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করলে অনেক অযাচিত বিতর্কের অবসান ঘটবে বলেও বলা হয় রিপোর্টে।বৃহস্পতিবারের কার্যনির্বাহী সভায় ঢাবি ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশাভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৩০ মে ২০১৯, ১০:৫২ অপরাহ্ণ ১০:৫২ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ