ইসলাম

রমজানের প্রতি রাতে যে দোয়া পড়লে ৪০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়

রমজানের প্রতি রাতে যে – পবিত্র রমজান মাসে হলো ত্যাগের মাস। অর্থ্যাৎ এ মাসে সকল খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায়। এই মাসটি ক্ষমা পাওয়ার মাস, এই মাসটি অশেষ সওয়াব হাসিলের মাস।

রমজানের প্রতি রাতে যে দোয়া পড়লে ৪০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায় এই মাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। এই মাসেই এমন রাত আছে যে রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ফলে মুসলিম উম্মাহর জন্য এই মাসের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না।

অর্থ: হে আল্লাহ্‌! হে রমযান মাসের প্রভু! যে মাসে তুমি পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছ এবং এ মাসে তুমি তোমার বান্দাদের ওপর রোজা ফরজ করেছ। হে আল্লাহ্‌! হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর বংশধরদের ওপর সালাম ও দরূদ প্রেরণ কর।

এ বছর এবং প্রতি বছর তোমার পবিত্র ঘর কাবায় হজ্ব করার তৌফিক দান করো। আমার সকল বড় পাপ ক্ষমা করে দাও। কেননা, তুমি ছাড়া আর কেউই পাপ ক্ষমা করতে পারে না। হে দয়ালু ও সর্বজ্ঞানী!

এছাড়া রমজানের ২৬ তারিখের সূর্যাস্তের সময় ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’ ৪০ বার পাঠ করলে ৪০ বছরের সগীরা গুনাহ মাফ ও শবেকদরের নিয়্যাতে সন্ধ্যায় গোসল করলে সমস্ত গোনাহ মাফ হয়।

মাতা-পিতার জন্য সন্তানের দোয়া

মা বাবার জন্য সন্তানের হৃদয় হয় কোমল ও সহনশীল। এ কারণেই হজরত ইবরাহিম আলাইহি সালামের পিতা আল্লাহর দুশমন হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রথমে তাঁর পিতার জন্য দোয়া করেছিলেন। অতঃপর যখন বুঝতে পারলেন যে, পিতা আল্লাহর দুশমন তখন তিনি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

সুরা তাওবায় এ বিষয়টি স্পষ্ট ওঠে এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর ইবরাহিম কর্তৃক স্বীয় পিতার মাগফিরাত কামনা ছিল কেবল সেই প্রতিশ্রুতির কারণে; যা তিনি তার সাথে করেছিলেন। অতঃপর যখন তাঁর কাছে একথা প্রকাশ পেল যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিলেন। নিঃসন্দেহে ইবরাহিম ছিলেন বড় কোমল হৃদয়, সহনশীল।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ১১৪)

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের বিভিন্ন জায়গায় পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার, উত্তম আচরণ এবং দোয়া করার পদ্ধতি ও নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর তা হলো, উচ্চারণ : ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৪)। অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন; যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, উচ্চারণ : রাব্বানাগফিরলি ওয়ালে ওয়ালেদাইয়্যা ওয়া লিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়া ক্বুমুল হিসাব। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)। অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের জীবিত মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন। আর মৃত মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলা তাঁদের জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম কবুল করুন। আমিন।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২০ মে ২০১৯, ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ