আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন। সেদিন দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে বিমানবন্দর থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। এর পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে সংসদের বাসায় ভিড় লেগেই আছে।
দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাকর্মী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ভিড় করছেন এক নজর দেখতে। সবাইকে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন। কথাও বলছেন অনেকের সঙ্গে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও ওবায়দুল কাদেরের সংসদের বাসায় সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় ছিল। এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। সকালে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে যান আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ সময় তিনি ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এরপর অনেকটা লাইনে দাঁড়িয়েই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উপস্থিত অন্য নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আসেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। শুক্রবার রাত ৮টায় ওবায়দুল কাদেরের বাসবভনে যান মেয়র। এ সময় তিনি ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একই সময় কাদেরকে দেখতে সেখানে যায় ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। তারা এ সময় ওবায়দুল কাদেরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজ সচিবালয়ে অফিস করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সকাল ১০টায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সভা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি। শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রীর আসার কথা ছিল। কিন্তু বাসায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাক্ষাৎ ও বিশ্রামে থাকায় আসতে পারেননি। অসুস্থতার পর রোববারই হবে সচিবালয়ে তার প্রথম অফিস।
জানা গেছে, এখন সীমিত পরিসরে কাজ করবেন ওবায়দুল কাদের। দলে এবং মন্ত্রণালয়ে সাধ্যমতো সময় দেবেন তিনি। তবে পুরোদমে কাজ শুরু করতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের। নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় প্রধানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
আবু নাসের বলেন, আজ সকাল ১০টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সভা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
৩ মার্চ হার্ট অ্যাটাকের পর ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৪ মে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি হয়। ৫ এপ্রিল তিনি হাসপাতাল ছাড়লেও সেখানে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সেখানে তিনি ফলোআপ চিকিৎসায় ছিলেন।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৯ মে ২০১৯, ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…