জাতীয়

নেতৃত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত শেখ হাসিনার, নেতা-কর্মীদের না, না

১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দলের সভানেত্রী হিসেবে ৩৮ বছর বোধহয় একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় আপনাদেরও সময় এসেছে, তাছাড়া বয়সও হয়েছে। এ বিষয়গুলো তো দেখতে হবে।’

আজ শুক্রবার (১৭ মে) স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা সমস্বরে না, না বলে ওঠেন। তারা অভিব্যক্তি দিয়ে জানিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যাকেই তারা সভানেত্রী হিসেবে দেখতে চান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫-র এত বড় দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে- এটা কখনো আমি ভাবিনি, চাইওনি, এটা চিন্তাও ছিল না।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আজকে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এক নম্বর পলিটিক্যাল পার্টি। যে পার্টি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করেছে। সেই আস্থা-বিশ্বাস আমরা দেখতে পারি এবারের নির্বাচনে, নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে যারা প্রথম বারের ভোটার তারা সকলে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের কথা জানিয়েছে।’

তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকলে সাধারণত মানুষের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই মানুষের ভোট আমরা পেয়েছি।

আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তার কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণটা হলো আমরা ক্ষমতায় থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছি, মানুষের জন্য উন্নয়ন করেছি, মানুষের ভাগ্য গড়ার জন্য যে কাজগুলো করেছি। সেটা মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে। এটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো রাজনৈতিক নেতার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের আস্থা-বিশ্বাসটা অর্জন করা।’

ক্ষমতায় থেকেও মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারা বিশাল অর্জন বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। নেতাকর্মীদের জনগণের এই আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নেতাকর্মীদের কাছে এতটুকু চাইব, এই আস্থা ও বিশ্বাস যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। ব্যক্তিগত জীবনে কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা না করি। দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কতটুকু দিতে পারলাম-সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।’

আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে বিভিন্ন সময়ের ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূল পরিবেশে আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘যারা বারবার চেয়েছে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে তারা সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ কিন্তু আওয়ামী লীগের মতোই ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৭ মে ২০১৯, ৮:৪৩ অপরাহ্ণ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ