গুরুতর অসুস্থ হয়ে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান- এমনটাই খবর ছিল। রাজধানীর ডেমরায় অবস্থিত আজগর আলী হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। অথচ সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শনিবার দিবাগত রাতে ছড়িয়ে পড়ে বরেণ্য এই অভিনেতার মৃত্যুর গুজব। যার কারণে বিরক্ত কিংবদন্তি এই অভিনেতার পরিবার।
বিষয়টিকে গুজব আখ্যা দিয়ে এটিএম শামসুজ্জামানের ভাই সালেহ জামান সেলিম শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিশ্চিত করেন যে, এটিএম শামসুজ্জামান বেঁচে আছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো বলে জানান সালেহ জামান। তিনি বলেন, ভাইয়ের (এটিএম শামসুজ্জামান) চিকিৎসা চলছে। শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো। শনিবার দুপুরে উনার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছে।
সালেহ জামান বলেন, আমিও শুনেছি কে বা কারা আমার ভাইয়ের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে। আল্লাহর রহমতে ভাই ভালো আছেন। একটা মানুষকে কেন মরার আগেই বারবার মেরে ফেলা হচ্ছে! মানুষের মৃত্যুর নিউজ ছড়িয়ে কী আনন্দ পায় তারা? আর এসব খবর পায়ই বা কোথায়! আপনারা সবাইকে জানিয়ে দিন, তিনি ভালো আছেন। আল্লাহর দোহাই লাগে পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত না হয়ে যেন নিউজ না হয় বা মৃত্যুর গুজব ছড়ানো না হয়।
তিনি বলেন, উনার বাঁচা-মরা আল্লাহর হাতে। আমাদের হাতে সুযোগ আছে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা করানোর। খুব ভালো চিকিৎসা চলছে তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকেও তার খোঁজ-খবর রাখতে বিশিষ্টজনদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল বলেন, 'আজকেও (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আঙ্কেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আর ডা. সামন্তলাল সেন আংকেল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব, দেশে নাকি বিদেশে চিকিৎসা করানো হবে।'
গত ২৬ এপ্রিল রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এটিএম শামসুজ্জামান। মল-মূত্র বন্ধ হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ওইদিন রাত এগারোটার দিকে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে। শনিবার দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টার অপারেশন শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এটিএম শামসুজ্জামানকে। এরপর অবস্থার আরো অবনতি হবে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে।
এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন পুরান ঢাকার দেবেন্দ্রেনাথ দাস লেনে। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে সিনেমায় পা রাখেন। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন।
অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’তে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রের অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১২ মে ২০১৯, ৩:০২ পূর্বাহ্ণ ৩:০২ পূর্বাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…