আবহাওয়া

আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসা নয় ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যে বিশ্বাসী

দেশের উন্নয়নে দলমত-নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং ঐক্যে বিশ্বাসী।

এজন্য আমরা বিভিন্ন সময় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের দৃষ্টিতে দেশের সব নাগরিক সমান। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সবসময়ই জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির ওপর আস্থাশীল।

বুধবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের (মেহেরপুর-২) প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরসহ সব প্রশ্ন টেবিলে উত্থাপিত হয়।

একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সব নাগরিকের অংশগ্রহণ জরুরি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এজন্য আমি দলমত-নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা চাই। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতার অভিশাপমুক্ত বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি হিসেবে বিভিন্ন দল/সংগঠন করতে পারি, আমাদের মতের ভিন্নতাও থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় প্রতিপক্ষ দলকে নিঃশেষ করার অপচেষ্টা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ এবং এর দলের নেতাকর্মীরা এ ধরনের বৈরী আচরণের শিকার হয়েছেন বারবার।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের দুঃশাসনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পরদিন থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা চরম নির্যাতনের মুখোমুখী হয়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবেও বারবার হামলার শিকার হয়েছি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমার এবং আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আমার দলের ২২ নেতাকর্মীসহ সেদিন মোট ২৪ জন নিহত এবং ৫ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন। যারা বেঁচে আছেন শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ের পর আমরা টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছি। আমাদের দৃষ্টিতে দলমত-নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিক সমান। আমরা সবার জন্য কাজ করব।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ২৫ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম...এখন আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের যোগসূত্র হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আমরা দেশের সব নিবন্ধিত দলের সঙ্গে সংলাপ করেছি। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা সংসদকে সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। সংসদের বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছি।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৬ মার্চ ২০১৯, ৮:১৫ অপরাহ্ণ ৮:১৫ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ