চাকরি

টার্গেট পঞ্চপাণ্ডব

আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী প্রচারণায় কেবল গত এক দশকের উন্নয়নের গল্পই বলবে না, সঙ্গে সঙ্গে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্ধকার সময়কে আবার স্মরণ করিয়ে দেবে। হাওয়া ভবনের লুটপাট, দুর্নীতি, হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, সন্ত্রাস হত্যার বিভীষিকাকে মনে করিয়ে দেবে। আওয়ামী লীগ তার প্রচারণায় বলবে ‘ফিরবো না আর অন্ধকারে।’

বিএনপি-জামাত জোটের সেই ভয়াল শাসনামল স্মরণ করতে আওয়ামী লীগ টার্গেট করবে বিএনপির পঞ্চপাণ্ডবকে। বিএনপির ৫ শীর্ষ ব্যক্তির অপকর্মের খতিয়ান তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের প্রচারণায়। এ নিয়ে একাধিক কনটেন্ট তৈরি করেছে আওয়ামী লীগের প্রচারণা সেল। আওয়ামী লীগ টার্গেট এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এরকম: ক. বেগম খালেদা জিয়া: আওয়ামী লীগের আক্রমণের প্রথম লক্ষ্যবস্তু বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অভিযোগগুলো:

১. এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী। সর্বোচ্চ আদালতে দণ্ডিত। দুই মামলায় দুর্নীতির দায়ে ১৭ বছরের সাজা পেয়েছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ প্রধানমন্ত্রী। ২. সৌদি আরব, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। ৩. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ৪. জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের লালন করেন। সন্ত্রাসীদের গডমাদার। ৫. পুত্রের হাতের পুতুল। পুত্রের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়াই তাঁর একমাত্র কাজ।

খ. তারেক জিয়া: ১. তারেক জিয়া হলো দুর্নীতির বরপুত্র। বাংলাদেশের ইতিহাসের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর রয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ। ২. তারেক রহমান বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অন্যতম। তাঁর সঙ্গে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের সম্পর্ক, যিনি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদদাতা। ৩. তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে অস্ত্র ব্যবসার প্রমাণ। ৪. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আদালত কর্তৃক দোষী প্রমাণিত। ৫. মাদক ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ আছে আওয়ামী লীগের কাছে। গ. গিয়াস উদ্দিন আল মামুন: বর্তমান কারান্তরীণ তারেক জিয়ার নিকটতম বন্ধু। তাকে বলা হতো হাওয়া ভবনের ক্যাশিয়ার। বিএনপির আমলে খাম্বা দুর্নীতি, বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট হয়েছে তারেকের বন্ধু মামুনের নেতৃত্বে। আওয়ামী লীগের প্রচারণায় বিএনপি-জামাত জোটের আমলে বিদ্যুৎ, সিএনজি, টেলিটকের দুর্নীতির আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হবে।

ঘ. হারিছ চৌধুরী: বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ছিলেন বিএনপি-জামাতের লুটপাটের অন্যতম পরিকল্পনাকারী। সব দুর্নীতির সঙ্গেই তার নাম ছিল। ঙ. মোসাদ্দেক আলী ফালু: ফালুকে বলা হয় বেগম জিয়ার ক্যাশিয়ার। বেগম জিয়ার অবৈধ সম্পদের পুরোটাই তাঁর কাছে। মানি লন্ডারিং মামলা এড়াতে ফালু এখন দুবাইয়ে। এসব দুর্নীতি ছাড়াও বিএনপি জামাতের নেতৃত্বে ২০০১ সালের অক্টোবরের নারকীয় সন্ত্রাসী ঘটনা এবং ২০১৪-১৫ সালের নির্বাচন বানচালে আগুন সন্ত্রাসের বীভৎসতা তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের প্রচারণায়।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ৯:৪৫ অপরাহ্ণ ৯:৪৫ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ