অপরাধ

খুব সহজে ঘরেই তৈরি করুন আপনার বাচ্চার সেরিলাক

চারদিকে এতো ভেজালের ভিড়ে আমরা নিজেরা কি খাব আর শিশুদের কি খেতে দেব সেই চিন্তা অনেকের মাঝেই থাকে। সুজি, চালের গুঁড়া থেকে শুরু করে সেরেলাক সব যদিও কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যায় কোনটা আসলেই ভালো আর কোনটা ভালো নয়। খাবার অনুপযোগী ভেজাল দ্রব্য মেশানো, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার সরবরাহ সহ সব দিকেই ভেজালের শেষ নেই। তাই বলে খাওয়া এবং খাওয়ানো তো বন্ধ রাখা যাবে না।

শিশুদের ক্ষেত্রে তাই চেষ্টা করতে হবে যতদূর সম্ভব ঘরে তৈরি খাবার খাওয়াতে। কারন ঘরে তৈরি খাবারের চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার আর কিছু হতে পারেনা। শিশুদের বুকের দুধের পাশাপাশি ৬ মাস বয়স থেকে বাড়তি খাবার দিতে হয়। তাই আমাদের সবার চেষ্টা থাকা উচিত ঘরে তৈরি খাবারই শিশুদের দেয়া।

উপাদানঃ ১.লালচাল বা আতপ চাল- দেড়কাপ, ২.মাষকলাই ডাল- এক কাপ, ৩.সবুজ বুটের ডাল- এক কাপ, ৪.মুগ ডাল- এক কাপ, ৫.খোলায় ভেজে নেওয়া ছোলা- এক কাপ, ৬.মসুর ডাল- এক কাপ, ৭.ভাঙ্গা গম- এক কাপ, ৮.সাবুদানা- আধা কাপ, ৯.বুটের ডাল- আধা কাপ, ১০.ভুট্টাদানা- আধা কাপ, ১১.কাঠবাদাম- আধাকাপ, ১২.কাজুবাদাম- আধাকাপ, ১৩.এলাচদানা- ৮-১০টা।

প্রস্তুত প্রনালীঃ কাঠবাদাম, কাজুবাদাম আর এলাচ বাদ দিয়ে বাকি উপাদানগুলো সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন এগুলো ভালো করে ধুয়ে পানি শুকিয়ে নিন। এরপর নীচের নিয়মানুযায়ী একে একে সবগুলো উপাদান শুকনো খোলায় ভাঁজতে থাকুন।

*চালগুলো কিছুটা ফুলে ওঠা না পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। *ডাল আর গমের গুঁড়া বাদামী আর কিছুটা মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাঁজুন। সবুজ বুটের ডাল সবুজ থেকে বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাঁজুন। *সাবুদানা কিছুটা কুড়মুড়ে ও শুকনো করে ভেজে নিন।

*টেলে নেওয়া ছোলা আরও কিছুক্ষণ ভেঁজে মুচমুচে করতে হবে। *ভুট্টা মুচমুচে হয়ে ফুটতে শুরু করা পর্যন্ত ভাঁজুন। *কাঠবাদাম আর এলাচদানা ঘ্রাণ ছড়ানো পর্যন্ত ভাঁজুন। *কাজুবাদাম সোনালি করে ভেঁজে নিন। এখন ভাঁজা উপাদানগুলোকে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা ডাল, বাদাম, চাল আর মশলা ব্লেন্ডার বা গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। ব্যাস, তৈরি পুষ্টিকর ঘরোয়া সেরেলাক। এয়ারটাইট কন্টেইনারে সংরক্ষণ করে ৪ থেকে ৬ মাস ব্যবহার করতে পারেন এই পুষ্টিকর শিশুখাদ্যটি।

বাচ্চাকে কিভাবে খাওয়াবেন? এক কাপ দুধ নিয়ে ফুটে উঠতে দিন। এরপরে এতে দুই চা চামচ সেরেলাক মেশান আর নাড়তে থাকুন যাতে জমাট না বেঁধে যায়। এভাবে ঘন পেস্ট তৈরি হবে। প্রয়োজনে আরও দুধ মেশাতে পারেন। হয়ে গেলে জ্বাল বন্ধ করে দিন। গরম থাকতে থাকতেই খাওয়ান আপনার বাচ্চাকে।

কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরীঃ *খাবারটির সাথে আপনার পছন্দমত ফল যেমন কলা, আপেল বা সফেদা মেশাতে পারেন। *মিষ্টি করতে চাইলে চিনির পরিবর্তে গুড় মেশান। *এক বছরের নীচের বাচ্চাদের বাদাম না দেওয়াই ভাল। *ডাল আটমাসের বেশি বয়সের বাচ্চাদের দেওয়া যায়। কিন্তু হজম হওয়ার জন্য সেটা যেন নরম হয় সেটা খেয়াল রাখুন।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৭ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন
দ্বারা প্রকাশিত
নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ