প্রধান সবজিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে করলা অন্যতম। গ্রীষ্মকালিন সবজিগুলোর মধ্যে করলার চাহিদা অনেক। আপনি যদি টবে করলা চাষ করতে চান তবে পড়তে থাকুন…
বারি করলা ১:- জাতটি গাড় সবুজ রঙের হয়ে থাকে, এটিতে গাছ প্রতি প্রায় ১০০গ্রাম ওজনের ২৫-৩০ টি ফল ধরে। এটি লাগানোর ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।
গজ করলা ২:- জাতটি সবুজ রঙের হয়ে থাকে,এটিতে গাছ প্রতি ১৫০-২০০ গ্রাম ওজনের ১৫-২০ টি ফল ধরে থাকে।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত করলা বীজ লাগানোর সেরা সময়। গরমে করলা গাছ দ্রুত বাড়ে, শীতে তেমন বাড়ে না। তাই আগাম ফলের আশায় জানুয়ারিতে লাগালে তেমন ফলপ্রসু হবে না।
করলা চাষের জন্য বড় বা মাঝারি আকারের টব নিলে ভাল হয় এজন্য আপনি ৫০ লিটার ড্রামের অর্ধেক নিতে পারেন। অবশ্যই ড্রামের নিচে ছিদ্র করে দিবেন। আমি এখানে হাফ ড্রাম টবের জন্য মাটি প্রস্তুতি বলব।
করলা প্রায় সব মাটিতে হয় তবে দোঁয়াশ মাটিতে করলা সবচেয়ে ভাল হয়। তাই করলা চাষের জন্য ২ ভাগ দোঁয়াশ মাটি, ১ ভাগ গোবর সার, ২৫ গ্রাম টিএসপি ও ২৫ গ্রাম পটাশ সার একসাথে মিশিয়ে ড্রামে ভরে পানি দিয়ে দিন। ১০-১২ দিন পর মাটি কিছুটা খুচিয়ে ৪-৫ দিন পরে বীজ বা চারা লাগিয়ে দিবেন।
বীজ রোপনের ২৪ ঘন্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ রোপনে সময় টবের মাটি ঝুরঝুরে কারে নিন। তারপর বীজ গুলো ১ ইঞ্চি গভীরে বপন করে পানি দিয়ে দিন। হাফ ড্রাম টবে আপনি ৫-৬ টি বীজ লাগাতে পারেন।
করলা গাছ একটু বড় হয়ে আসলে ভালভাবে মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করে টবের মাটি কিছুটা আলগা করে দিতে হবে। চারার বয়স ১ মাস হলে ২০ গ্রাম টিএসটি দিন। যখন করলা ধরা শুরু করবে তখন ১৫-২০ দিন পর পর সরিষার খৈল পঁচা পানি দিতে হবে।
করলা গাছে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে যেমন:- মাছি পোকা, পামকিন বিটল, পাউডারী মিলডিউ ও ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।
এসব রোগাবালাই থেকে বাঁচতে বাগান সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মাছি পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে বাগানে ফোরোমন ফাঁদ ব্যবহার করবেন। আর অন্যান্য রোগের জন্য নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করবেন।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৮ মে ২০২৩, ২:২২ অপরাহ্ণ ২:২২ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…