কাদেরের প্রশ্ন: বিএনপি কি কখনও বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়েছে

গত আট মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া। অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেলেও এখনো ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি। অন্যান্য ,মামলায় গ্রেফতার থাকায় কারাগারে রাখা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। কয়েক আবার আলোচনায় খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কি কখনও বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়েছে? আর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কী নির্বাচন করা যায়? অথবা বিদেশে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক বললে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু সে অবস্থা নেই। তাহলে প্যারোলে মুক্তির বিষয় কেন? সোমবার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয় নিয়ে সাংবাদকিদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব পাল্টা প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

এরশাদ সাহেব জেলে থেকে নির্বাচন করেছিলেন, সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়া পারবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সেটা প্রধান বিচারপতির কাছে জিজ্ঞাসা করুন। খালেদা জিয়া এতোগুলো মামলায় সাজার পর নির্বাচন করতে পারবেন কি না- এটা আদালত সিদ্ধান্ত দেবে।নির্বাচন যথাসময়ে হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেদিন নির্বাচন দেবে সেদিনই নির্বাচন হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয়ে মতবিনিয়ের সময় কাদের বলেন, আমরা (সরকার) কোনো প্রকার চাপ অনুভব করছি না। আমরা কোনো আন্দোলনের মুখে তাদেরকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছি, এটা ভাবা ঠিক নয়। এটা গণতান্ত্রিক উদারতার পরিচয় দিয়েছি আমরা। আমরা গণতন্ত্র ও পাবলিক পারসেপশনকে গুরুত্ব দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা ভাবতেও পারিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা করবেন। আলোচনার বিষয়ে যখন তার মুখে আমরা শুনেছি, তখন আমরা হতবাক হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক পারসেপশনকে গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে অফমুডে আছে। সরকার সবকিছু দেখছে। বরং ঐক্যফ্রন্টের লোকেরাই মনে হয় এক নাই। তারা একেক জন একেক কথা বলছেন। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান বলেন, ভাল আলোচনা হয়েছে। আবার তাদেরই অনেকে বলেন আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।

কাদের বলেন, দেশের সরকার প্রধান একটি সংলাপ করছেন খোলা মনে, দুয়ার অবারিত করে। এটাই তো একটা অগ্রগতি। এটা ইতিবাচক অগ্রগতি। এটা ঐতিহাসিক অগ্রগতি। আমাদের লিডারের সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের আস্থা শতভাগ। আমরা একযোগে এখন ডায়লোগের পক্ষে কথা বলছি। নেত্রী যা বলবেন, আমরা সেটাকেই গুরুত্ব দেব।