মাত্র ৫ মাসে পবিত্র কুরআন হিফজ করে কৃতিত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার তাজবীদ বিভাগের ছাত্র মুহাম্মদ ঈসা।
হাফেজ মুহাম্মদ ঈসা(২৩) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়া ডেঙ্গাঁ গ্রামের মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে।
সে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস(মাস্টার্স) সম্পন্ন করে। পরে হাটহাজারী মাদরাসাতেই উচ্চতর তাফসীর ও আরবী আদব বিভাগে অধ্যয়ন শেষ করে বর্তমানে তাজবীদ বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
ইচ্ছে আর দৃঢ মনোবল থাকলে যেকোনো চেষ্টায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়, এ কথা সত্য এবং বাস্তব প্রমাণ করেছে হাফেজ মুহাম্মদ ঈসা। সাধারণত হাফেজ হয় ছোট বয়সে। তাই অনেকেই মনে করে থাকেন যে, বয়স বেড়ে গেলে হিফজ করা যায় না বা সম্ভব নয়।
কিন্তু হাফেজ মুহাম্মদ ঈসা এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যে, ইচ্ছে থাকলে এবং চেষ্টা করলে আল্লাহর রহমতে যে কোনো বয়সে পবিত্র কুরআনের হাফেজ হওয়া সম্ভব।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হচ্ছে মুহাম্মদ ঈসা’র হাফেজ হওয়ার বিস্ময়কর ধরণ। হাফেজ ঈসা ও তার শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সুবহান উভয়েই হাটহাজারী মাদরাসার অধ্যয়নরত ছাত্র। নিজের পড়াশোনা ঠিক রেখে অবসর সময়ে মেহনত করে মাত্র পাঁচ মাসে পুরো কুরআনে মাজীদের হেফজ্ শেষ করে বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
মুহাম্মদ ঈসার হিফজ শিক্ষকের নাম মাওলানা আব্দুস সুবহান। তিনি ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন।পাশাপাশি অত্র মাদরাসা থেকে উচ্চতর আরবী আদব (সাহিত্য) বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন। বর্তমানে তিনি উচ্চতর তাফসীর বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাওলানা আব্দুস সুবহান জানান, ঈসার হাফেজ হওয়ার বিষয়টা সত্যিই আনন্দ ও অনেক বড় কৃতিত্বের বিষয়।
আমি আশাবাদী ঈসার হাফেজ হওয়াটা অন্যান্য তরুণদের আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। বিশেষত যারা হাফেজ হতে ইচ্ছুক কিন্তু ছোট বয়সে হাফেজ হতে পারেনি, তাঁদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে ঈসা।
তিনি বলেন, মানুষ সাধারণত ছোট বয়সে হাফেজ হয় কিন্তু পবিত্র কুরআন হিফজের প্রতি ঈসার আগ্রহ উদ্দীপনা এতো বেশি ছিল যে, আমি প্রায় বাধ্য হয়েই ঈসাকে নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছি। আলহামদুলিল্লাহ অতি স্বল্প সময়ে সে হিফজ সমাপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে৷
এতো বড় হয়েও হাফেজ হলেন, তাও খুবই অল্প সময়ে। এমন প্রশ্ন করে অনুভূতি যানতে চাইলে হাফেজ মুহাম্মদ ঈস বলেন, গত বৎসর আমার ছোটভাই লেখাপড়ার পাশাপাশি কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছে।
তার হাফেজ হওয়ার বিষয়টা আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। তাই আমিও লক্ষস্থির করি যে আমিও হাফেজ হবো। আলহামদুলিল্লাহ! আমার চেষ্টা এবং উস্তাদের সহায়তায় ও আল্লাহর রহমতে আমি হিফজ শেষ করতে সক্ষম হয়েছি, তাই আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…