চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গোপন আস্তানায় হানা দিয়ে ৭ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার ভোররাতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কেরোয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, দুটি পেনড্রাইভ এবং ৬টি মোবাইলফোন জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এই সাতজনের মধ্যে ফরিদগঞ্জের গাজীপুর গ্রামের কাউছার হামিদ ও কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মাহমুদুর রহমান নামে এই দুজন ছাড়া অন্য পাঁচজনকে জঙ্গিবাদে দীক্ষা নিতে সেখানে নিয়ে আসে।
অন্যরা হচ্ছেন, নারায়ণগঞ্জের শহীদনগরের রাশেদুল ইসলাম, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সংগ্রামকেলী গ্রামের আবুল ফয়েজ, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের শালুয়া গ্রামের নেয়ামতউল্লাহ, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার রাণীদিয়া গ্রামের ফজলুল করিম।
তাদের কয়েকজন নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার একটি মাদরাসার শিক্ষক। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের বিশেষ একটি দল নিয়ে পৌরসভার কেরোয়া গ্রামের একটি বসতঘর থেকে এই সাতজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরে থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের 'জিহাদে' নাম লেখানোর কথা স্বীকার করেন।
এই নিয়ে আজ দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রপ্তোর সাতজনই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। মূলত প্রশিক্ষিত দুজনের কাছ থেকে অন্য পাঁচজন জঙ্গিবাদে দীক্ষা নিতে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে কেরোয়া গ্রামকে বেছে নিয়েছিল।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২১ অক্টোবর ২০১৮, ২:২১ অপরাহ্ণ ২:২১ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…