ইসলাম শান্তির ধর্ম, সাম্যের ধর্ম। মানুষের প্রতি মানুষের অধিকার ইসলামে খুবই স্পষ্ট। ইসলামে মানুষ ও বিশেষভাবে মুসলমান ও নিজ প্রতিবেশির অধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মানুষই এমন আছে, যারা খুবই আমল ইবাদত করে, কিন্তু প্রতিবেশীর সাথে তার আচরণ ভালো নয়। তার কথা থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না। এমন লোক জাহান্নামী হবে। প্রতিবেশীর সাথে ভাল ব্যবহার সম্পর্কে নবীজি (সা:) কি বলেছেন এমন হাদিস এসেছে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে-
قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهُ إِنَّ فُلَانَةَ تَصُوْمُ النَّهَارَ وَتَقُوْمُ اللَّيْلَ وَتُؤْذِي جِيرَانَهَا بِلِسَانِهَا قَالَ «هِيَ فِي النَّارِ» قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فُلَانَةٌ تُصَلِّيْ الْمَكْتُوْبَةَ وَتَصَدَّقَ بِالْأَثْوَارِ مِنْ الْأَقِطِ وَلَا تُؤْذِي جِيرَانَهَا قَالَ « هِيَ فِي الْجَنَّةِ » “এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল ইয়া রাসূলুল্লাহ! অমুক মহিলা দিনে রোযা রাখে, রাতে তাহাজ্জুদ সালাত পড়ে, কিন্তু সে তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বললেন: সে জাহান্নামী।
অতঃপর সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন যে, অন্য এক মহিলা শুধু ফরয সালাত আদায় করে, আর পনিরের এক টুকরা করে তা দান করে। কিন্তু সে তার প্রতিবেশীকে কোন কষ্ট দেয় না। তিনি বললেন: সে জান্নাতি।’ –মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-১৩৬
অতএব হাদিসটি থেকে বোঝা যায়, যারা মানুষ ও বিশেষত প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় তাদের নফল ইবাদত কোন কাজে আসবে না। তাদের নামায ও রোযা তাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচাতে পারবে না। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে হলে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে হলে, তাকে অবশ্যই মানুষকে কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকতে হবে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১ অক্টোবর ২০১৮, ৮:৪১ অপরাহ্ণ ৮:৪১ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…