কাজের ফাঁকে, ক্লাসের ফাঁকে অথবা অবসর সময়ে এক কাপ চা না হলে কাজে যেমন মনোযোগ আসতে চায় না, ঠিক তেমনি আবার অবসরও কাটতে চায় না। আর আড্ডার কথা তো বলাই বাহুল্য, আড্ডায় বসে ঠিক কত কাপ চা পান করা হয় সেটার বোধহয় হিসেব থাকে না কারোরই।
শুধু বাংলাদেশ, ভারত বা চীনেই নয় বিশ্বের বহু দেশে অনেক আগে থেকেই এই পানীয়টি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু কোনো সময় কি শুনেছেন চা বিক্রি করে কেউ কোটিপতি হয়েছেন? ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে ঘটেছে কিনা তা জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর বাসিন্দা ব্রুক এডি। ২০০২ সালে সামাজিক ন্যায় আন্দোলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই নারী। সেই সময় ব্রুক পশ্চিম ভারতের গ্রামে বেড়াতে যান। সেখানেই প্রথম তিনি চায়ের কাপে চুমুক দেন।
এরপর সেখানে ভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন রকমের চা তিনি ট্রাই করতে থাকেন। শুধু যে চা তাই নয়, চায়ের স্বাদের সঙ্গে চায়ের কাপের ভিন্নতাও তার নজরে আসে। এরপর ফিরে গেলেন নিজের দেশে। সেখানেও তিনি চা-পরীক্ষা পর্ব চালিয়ে যান।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্যাফেতেই অনেক খুঁজেও ভারতীয় স্বাদের চা আর পাননি। আর তখনই মাথায় আসে নতুন উদ্যোগের ভাবনা। খুলে ফেলেন একটি চায়ের দোকান। নাম রাখেন ‘ভক্তি চা’।
ব্রুক এডি ২০০৭ সাল থেকে নিজের তৈরি চা বিক্রি করতে শুরু করেন। তার বানানো চা তার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ব্রুকের বানানো চায়ের ভক্ত এখন হাজার হাজার মানুষ।
ভক্তি চায়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, ‘ভক্তি-চা’ এর ব্যবসা শুরু করার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। পুরো সময় দিতে থাকেন চায়ের ব্যবসায়। ১০ বছর পর বর্তমানে, ২০০ কোটির মালিক এই চা ব্যবসায়ী নারী।
কলোরাডোয় তার ভক্তি চায়ের দোকানে পাওয়া যায় নানা স্বাদের চা। ব্রুকের জনপ্রিয় চায়ের তালিকায় রয়েছে চকোলেট চা এর্নাজি বাইটস।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বছরের সেরা উদ্যোগপতি হিসেবে স্বীকৃতও পেয়েছেন তিনি।
সূত্র: জি বিজনেস, কলকাতা২৪
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:২২ অপরাহ্ণ ১১:২২ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…