অপরাধ

বাড়িতে চুরি-ডাকাতির সম্ভাবনা বাড়ে যে ১০টি কারণে!

ছুটিতে বাড়ি চলে গেছেন অনেকেই। দেখা যায় বাড়িতে হয়তো মাত্র দুই-একজন মানুষ থাকে অথবা বাড়ি খালিই থাকে। এ সুযোগে চুরি-ডাকাতি হতে পারে বাড়িতে। কিছু কিছু বাড়িতে চুরি-ডাকাতি করা অন্য বাড়ির তুলনায় সহজ। দেখে নিন, ঈদের ছুটিতে আপনার বাড়িতে চুরি-ডাকাতি হবার সম্ভাবনা কম, নাকি বেশি-

১) দরজা খোলা থাকা বহুত অ্যাপার্টমেন্টে ওপর তলায় যারা থাকেন তারা অনেক সময়েই বাড়ির সদর দরজা বন্ধ করতে অবহেলা করেন। তারা ভাবেন, এত ওপরে আর চোর-ডাকাত আসবে কী করে। তারা হয় দরজা খুলেই রাখেন, নয়তো দরজার লক বা ছিটকিনি দিতে অবহেলা করেন। কিন্তু বেশিরভাগ চোরই প্রথমে সদর দরজা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে।

সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মাঝে যখন বাড়িতে মানুষ কম থাকে তখন এমন চোরের আনাগোনা বেশি হয়। আপনি হয়তো দরজা কোনোমতে ভিড়িয়ে বাথরুমে গেছেন বা গোসল করছেন, তখন সদর দরজা খোলা পেয়ে চোর বা ডাকাত ঢুকে পড়বে।

২) টিভি বা ফ্রিজের বাক্স ঈদের সময়ে অনেকেই কেনেন টিভি, ফ্রিজ বা এসি। এরপর এসব গ্যাজেটের কার্ডবোর্ড বক্স এবং স্টাইরোফোম ফেলে দেন বাইরের ডাস্টবিনে। কিন্তু এসব বাক্স দেখলে চোর ও ডাকাত বুঝে নেবে আপনার বাড়িতেই নতুন এই জিনিসটি আছে। ঈদের সময়ে বাসা ফাঁকা থাকার সুযোগে তারা এসব জিনিস নিয়ে চম্পট দেবে। সুতরাং এসব বাক্স ফেলে দিতে চাইলে আগে কেটে যাতে এগুলো কিসের বাক্স তা বোঝা না যায়।

৩) বাড়ির অবস্থান মেইন রোডের সাথেই যাদের বাসা, সেখানে চুরি-ডাকাতি হবার সম্ভাবনা কম, কারণ খুব সহজেই তারা অন্যদের চোখে পড়ে যেতে পারে এবং গণধোলাই খেতে পারে। কিন্তু যেসব বাসা মেইন রোড থেকে দেখা যায় না, গলির ভেতরে বা আড়ালে, সেখানে চুরি-ডাকাতির সম্ভাবনা বেশি। বাড়িতে লুটপাটের সম্ভাবনা এড়াতে বারান্দা এবং দরজার সামনে বাতির ব্যবস্থা করতে পারেন। কারণ বাতির আলোয় সহজে ধরা পড়ে যায় চোর-ডাকাত।

৪) জানালা খোলা রাখা একতলা বা দোতলা বাড়িতে জানালা খোলা রাখাটা বিপজ্জনক। এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই জানালায় গ্রিল থাকে। আপনার বাড়ির জানালায় যদি গ্রিল না থাকে বা গ্রিল পলকা হয়, তবে সহজেই এ পথে ঢুকতে পারে চোর।

৫) প্রতিবেশির অনুপস্থিতি আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি কোনো প্রতিবেশি না থাকেন, সবাই যদি ছুটিতে চলে যান, তাহলে আপনার বাসায় চোর-ডাকাতের আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে যদি প্রতিবেশি বাড়িতেই থাকেন এবং তার সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে তাহলে ছুটিতে যাবার সময়ে তাকে বলে যেতে পারেন আপনার বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দিকে নজর রাখতে। এতে বাড়িতে চোর-ডাকাতের আনাগোনা চট করে ধরে ফেলতে পারেন তিনি।

৬) দরজার লক চোর-ডাকাত তাদের কাজ কত কম সময়ে সারতে পারে সেই চিন্তা করে। কারণ লুটপাটে সময় বেশি লাগলে তাদের ধরা পড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি হয়। বেশিরভাগ অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এর ফ্ল্যাটগুলোতে একই ধরণের তালা থাকে। সহজেই এই তালা ভেঙে ঢুকতে পারে চোর বা ডাকাত। কিন্তু আপনি যদি এতে পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি বা দুটি লক বসান দরজায়, এমনকি নতুন একটি ছিটকিনিও বসান, তাহলেও আপনার বাড়িতে আক্রমণের সম্ভাবনা কমে আসবে। বেশি সময় লাগিয়ে একাধিক লক খোলার চেয়ে পাশের বাসার দরজা ভাংতেই তারা বেশি মনোযোগ দেবে।

৭) কুকুর যাদের বাড়িতে কুকুর আছে, পারতপক্ষে সেখানে চোর-ডাকাত হামলা করে না। ছোট কুকুর হলেও সে চিৎকার করে এলাকা মাথায় তুলবে। বড় কুকুর হলে তো কথাই নেই, মুহূর্তের মাঝে চোরকে সে আক্রমণ করে বসবে। সুতরাং বড় হোক বা ছোট, বাড়িতে কুকুর থাকলেই অনেকটা নিশ্চিন্ত বোধ করতে পারেন আপনি।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১:১০ অপরাহ্ণ ১:১০ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ