মা চলে গেছে – ছোট্ট মেয়ে আফসানা প্রাণ খুলে হাসছে। এ ঘর থেকে সে ঘরে ছোটাছুটি করছে। কোনো অনুভূতি নেই। মা তাকে ছেড়ে চলে গেছে চার মাস আগে। আর বাবা খুন হয়েছেন গত শুক্রবার। অথচ সে কিছুই জানে না।
গত ২০ এপ্রিল, শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ শহরে খুন হওয়া বাবুর দুই বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে আফসানার কথা। আফসানার এখন কেউ নেই। আছে শুধু ৬০ বছর বয়সী দাদি রোকেয়া বেগম, যিনি গুরুতর অসুস্থ। ছেলেকে হারিয়ে তিনিও বাকরুদ্ধ।
ময়মনসিংহে কাঁচিঝুলি এলাকায় একাডেমি রোডে মা আর মেয়েকে নিয়ে ছোট্ট একটি টিনের ঘরে বাস করতেন পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান বাবু।
বাবু কলেজ রোড এলাকায় ২০০৯ সালে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আরমান হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।
স্থানীয়রা বলছিলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাবু এলাকায় বৈদুৎতিক খুটিতে কাজ করছিলেন। পাশের মসজিদে নামাজও পড়েছেন। তারপর সব শেষ। কলেজ রোড থেকে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে বাবুর পিছু নেয় চার যুবক।
দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়াতে থাকে বাবু। সবাই তাকিয়ে দেখেছে, বাধা দেয়নি কেউ। শেষে রেললাইনের পাড়ে গিয়ে বাবুকে ধরে ফেলে হামলাকারীরা। তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পদতলে পিষ্ট করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। তখনো কেউ বাধা দেয়নি।
হালাকারীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা বাবুকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনার পর পুলিশ এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। জড়িতদের ধরতে অভিযান চালিয়েও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাবুর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার পাঁচজনসহ নয়জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় যেসব আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- বাবু, জুয়েল, রাজিব, ও ফারুক।
মামলা তদন্ত করছেন ময়মনসিংহ শহরের ২নং ফুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বাবুর লাশ তার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৩ এপ্রিল ২০১৮, ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…