বিমানটি তখন মাটি থেকে ৩০০০০ ফুট ওপরে। যাত্রীরা যে যার মতো করে সময় কাটাচ্ছেন। এর মধ্যেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণ! উড়ে গেল প্লেনটির একটি ইঞ্জিন। এই অবস্থাতেও নিরাপদে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করল সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের একটি বিমান।
রক্ষা পেলেন বিমানের ১৪৯ জন যাত্রী। প্রচণ্ড বিপদেও নার্ভ ধরে রেখে বিমান ল্যান্ড করানোর জন্য এখন বীরের সম্মান পাচ্ছেন নারী পাইলট ট্যামি জো শাল্টস।
মঙ্গলবার সকালে নিউ ইয়র্ক থেকে ডালাস যাচ্ছিল বোয়িং ৭৩৭। বিমানটি মাটি ছাড়ার ঠিক ২০ মিনিটের মাথায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণে উড়ে যায় তার একটি ইঞ্জিন। প্লেনের মধ্যে তৈরি হওয়া গর্ত দিয়ে মূহূর্তে বাইরে উড়ে যায় এক যাত্রী।
যে কোনও মুহূর্তে প্লেনটি ভেঙে পড়বে বলে নিশ্চিত হয়ে যান যাত্রীরা। সবাই হাতে হাত ধরে প্রার্থনা শুরু করেন। কিন্তু এত সহজে হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন না বিমান চালিকা ট্যামি জো শাল্টস। ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং-এর জন্য ফিলাডেলফিয়ার এয়ার ট্র্যাফিক কনট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
যাত্রীবাহী বিমান চালানোর আগে নেভি পাইলট ছিলেন ট্যামি। সেই সময় ককপিটে বহু কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগিয়ে একটুও উত্তেজিত না হয়ে এয়ার ট্র্যাফিক কনট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। প্রচণ্ড বিপদের মধ্যে তার সেই শান্ত কথোপকথন বিষ্ময় সৃষ্টি করেছে।
ট্যামি: আমার ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং প্রয়োজন। বিমানে ১৪৯ জন যাত্রী রয়েছেন আর ৫ ঘণ্টার মতো জ্বালানি।
এটিসি: তোমার প্লেনে কি আগুন লেগেছে?
ট্যামি: না, আগুন নয়। এর খানিকটা অংশ উড়ে গেছে। প্লেনের মধ্যে একটা গর্ত হয়েছে। ওহ! একজন বাইরে বেরিয়ে গেল।
শেষ পর্যন্ত ২০ মিনিটের বিভীষিকার পর ফিলাডেলফিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে একটি মাত্র ইঞ্জিন নিয়ে ল্যান্ড করে বিমানটি। আহত যাত্রীদের জন্য ছুটে আসে মেডিক্যাল টিম। এই অবস্থা থেকেও বেঁচে ফিরে আপ্লুত যাত্রীরা সেই নারী পাইলটকে বীরের সম্মান দিচ্ছেন।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ২:৫৪ অপরাহ্ণ ২:৫৪ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…