দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চলছে নিদারুণ ঘাটতি। সামাল দিতে বাড়ছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিস সূচিতে পরিবর্তের সুপারিশ করেছে সরকারের সংশ্লিষ্টরা। বলা হচ্ছে, করোনার সময়ে অফিস সূচিতে ফিরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় এ বিষয়ে সুপারিশ করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কোভিডের সময় জীবন অন্যভাবে ছিল। অফিসের সময় সংশোধন করা গেলে যেমন ৯টা থেকে ৩টা করা যায় কি না বা ঘরে বসে কাজ করতে পারি কি না, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায় চিন্তা করতে পারে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ‘আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা আছে। দাম না বাড়লে আমরা সবাইকে দিতে পারতাম। প্রধানমন্ত্রী দামের বিষয়ে সহনশীল হয়েছেন। সাবসিডি দেয়া হচ্ছে। কোথায় যাবে কেউ বলতে পারে না।’ মন্তব্য করেন জ্বালানি উপদেষ্টা।
তৌফিক বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের আগেই জানানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি; ফিল্ড লেভেলে কিছু কমিটি আছে। তারা এটাকে বাস্তবায়ন করে। এটা আমরা রিভাইব করছি। কত উৎপাদন হবে, কত বিতরণ হবে, এটা জেনে পরে জানানো হবে। ডিপিডিসি অ্যাপ করে সেখানে জানা যাবে। ‘মাঠ পর্যায়ের যারা, তারা বাস্তবায়ন করবে। কমিটিকে শক্তিশালী করব। এটা যেন সমতার মধ্যে থাকে, সেদিকে দৃষ্টি থাকবে’ বলে জানান তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
এছাড়াও ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, এটা এখন একটা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি। তাই সবাইকেই সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রত্যেক বিতরণ সংস্থাকে অ্যাপ ডেভেলপ করতে বলা হয়েছে। সবাই নিয়ম মেনে চললে ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হবে না। তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্তমান পরিস্থিতি চলমান থাকতে পারে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দৈনন্দিন প্রয়োজন হবে। সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে এই চাহিদা ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৭ জুলাই ২০২২, ৪:৩৪ অপরাহ্ণ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…