একেক জনের পায়ের আকৃতি একেক রকম হওয়াটাই স্বাভাবিক। জানলে অবাক হবেন যে, পায়ের আঙুল দেখেও মানুষের ব্যক্তিত্ব টের পাওয়া যায়। বহুদিন আগ থেকেই বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে বিশেষ চর্চা ও গবেষণা হয়ে আসছে। পৃথিবীতে যত মানুষ আছেন, তাদের পায়ের আকার প্রধানত চার ধরনের হয়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ধরন অনুযায়ী কোন পা কেমন ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে-
রোমান পা: এ ধরনের পায়ের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বুড়ো আঙুল থেকে পর পর ৩ আঙুল একই মাপের হয়। আর বাকি দুটো আঙুল ক্রমান্বয়ে ছোট হতে থাকে। এমন পায়ের অধিকারীদের ব্যক্তিত্ব ও দেহের আকার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকে। তারা জন্মগতভাবেই ঘরের থেকে বাইরের জীবনে বেশি সময় দেন। এমন মানুষেরা বেশ অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, ভ্রমণকারী ও আবিষ্কারক প্রকৃতির হন। তারা প্রতিকূল পরিবেশেও মানিয়ে নিতে পারেন। এমনকি নতুন সংস্কৃতিও আপন করে নিতে পারেন।
গ্রিক পা: এ ধরনের পায়ের বৈশিষ্ট্য হলো সবগুলো আঙুলের চেয়ে দ্বিতীয় আঙুলটি আকারে বড় হয়। পুরো পৃথিবীর প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষ এই পায়ের অধিকারী। গ্রিক পায়ের অদিকারী মানুষেরা সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুযায়, এদের বুদ্ধি ও আইকিউ অন্যদের চেয়ে বেশি হয়। এ ধরনের পায়ের অধিকারীরা খুব আবেগপ্রবণও হন।
মিশরীয় পা: পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, শতকরা ৫৫ ভাগ মানুষ এ জাতীয় পায়ের অধিকারী হন। এই পায়ের বৈশিষ্ট্য হলো সব আঙুলের চেয়ে বুড়ো আঙুলই সবচেয়ে বড় হয়। তারপর ক্রমান্বয়ে আঙুলগুলো ছোট হতে থাকে। সাধারণত এ ধরনের পায়ের ব্যক্তিরা খুব চাপা স্বভাবের হন। অন্যের দ্বারা খুব কম প্রভাবিত হন। সৃষ্টিশীল কাজেও জড়িত থাকেন এ ধরনের মানুষরা।
বর্গাকার পা: এ ধরনের পায়ে সাধারণত পরপর ৫টি আঙুল একই মাপের হয়। ফলে পা দেখতেও খানিকটা বর্গাকার দেখায়। এমন পায়ের অধিকারীরা অত্যন্ত উপকারী স্বভাবের হন। খুব স্পর্শকাতর প্রকৃতিরও হন তারা। তবে এমন মানুষেরা বেশি ধৈর্যশীল ও বাস্তববাদী হন। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও খুব দ্রুততার সঙ্গে নিতে পারেন তারা।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৩ জুলাই ২০২২, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ ৭:৫৯ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…