মহামারি করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু। এই অবস্থায় সরকার ঘোষণা দিয়েছে এক সপ্তাহ লকডাউনের। এই সময়টায় প্রায় সবাই ঘরেই থাকবেন। করোনার কারণে লকডাউনে যাওয়ার ফলে অনেকের মধ্যেই এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে।
আবার অনেকেই ভাবছেন এই সময়টা কীভাবে কাটাবেন। যারা সময় কাটানোর কথা ভাবছেন তাদের জন্য ভালো অপশন হতে পারে ঘরের কিছু কাজ করা। যেমন ঘর গোছানো, রান্না করা, পরিবারের সবার সঙ্গে গল্প করুন।
এই সময়ে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবেন না। সামনে রোজার মাস ও পহেলা বৈশাখ। লকডাউনের আগেই খাবার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় পণ্য এনে রাখুন। তবে ৭ দিন চলে এমন বাজারই করবেন। অনেক বেশি কিনে এনে মজুদ করা ঠিক নয়।
করোনার হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ও লকডাউনে ঘরে থাকতে হবে এটা অনেকের জন্য মানসিক চাপের কারণ। ভয় বা উদ্বেগ দূর করতে সময়মতো গোসল, আহার, পরিষ্কার কাপড় পরুন। মুভি দেখা, বই পড়া আরও কতো শখের কাজ করতে পারেন এই সময়টা কাজে লাগিয়ে।
হালকা ব্যায়াম করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে নিশ্বাসের ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারেন। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তবে মহামারি করোনার ভাবনা দূরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী হ্যাশট্যাগ বা কি-ওয়ার্ড মিউট করে রাখুন।
সবচেয়ে বড় কথা, করোনা থেকে বাঁচতে হলে প্রথমে সচেতন হতে হবে। আর আতঙ্কিত না হলে মনোবল নিয়ে এই মহামারিকে পরাজিত করতে নিরাপদে থাকতে হবে। খুব সাধারণ সাস্থ্যবিধিগুলো মানতেই হবে।
মনে রাখবেন, আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগ সুস্থ হচ্ছেন এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। তবে কার শরীরে করোনা কেমনভাবে আক্রান্ত করে ক্ষতি করতে পারবে, এটা আগে থেকে বোঝার উপায় নেই। এজন্য লকডাউন পুরোপুরি মানতে হবে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৫ এপ্রিল ২০২১, ১১:০৬ অপরাহ্ণ ১১:০৬ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…