জাতীয়

সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মদক্ষতা

সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও কর্মদক্ষতা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি প্রচারিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস- ২০২০ উপলক্ষে আমি তিন বাহিনীর প্রতিটি সদস্যসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছর সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাহিনীগুলো নিজেদের মতো করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

তিনি বলেন, আজকের এই মহৎদিনে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে, যার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি প্রাণপণ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা-কে। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোন-কে। মুক্তিযোদ্ধাদের আমার সালাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে আজকের দিনটি বিশেষ গৌরবময় স্থান দখল করে আছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যগণ যৌথভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করেন। সম্মিলিত আক্রমণের মুখে শত্রুবাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাঁথা জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র পরিসরে যে সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম হয়েছিল, তা আজ মহীরূহ হয়ে বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা একটি উন্নত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। সে লক্ষ্যে তিনি ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেছিলেন প্রতিরক্ষা নীতি।

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সীমিত সম্পদ নিয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালেই গড়ে তোলেন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল এবং সেনাবাহিনীর প্রতিটি কোরের জন্য স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একইসঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিনটি ঘাঁটি উদ্বোধন করেন। ভারত ও যুগোশ্লভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ করেন। ১৯৭৩ সালে সে সময়ের সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমানসহ হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান এবং এয়ার ডিফেন্স রাডারের মতো অত্যাধুনিক সরঞ্জাম বিমান বাহিনীতে সংযোজন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীলগ্নে জাতির পিতা প্রণীত জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও কর্মদক্ষতা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২১ নভেম্বর ২০২০, ৭:১৫ অপরাহ্ণ ৭:১৫ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ