আন্তর্জাতিক

ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন চেয়ে ফাইজারের আবেদন

যৌথভাবে তৈরি করোনার ‘৯৫ শতাংশ কার্যকর’ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে মার্কিন ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক। ভ্যাকসিনটি কার্যকর হলে তা যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার এই সিদ্ধান্তটি নেবে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) কর্তৃপক্ষ।

তবে গবেষণার তথ্য পর্যালোচনা করতে এফডিএ কত সময় নেবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও মার্কিন সরকার ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে প্রাথমিকভাবে পাওয়া ফলাফলে দেখা গেছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

যুক্তরাজ্য এই ভ্যাকসিনের ৪ কোটি ডোজ ক্রয়ে ইতোমধ্যে কোম্পানি দুটির সঙ্গে চুক্তি করেছে। বছর শেষে এক কোটি ভ্যাকসিন ডোজ হাতে পাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ঠেকাতে সক্ষম একটি ভ্যাকসিনের প্রয়োজন এখন সবচেয়ে বেশি। করোনা দেশটির আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং জুনের পর গত একদিনে মারা গেছে দুই হাজারের বেশি।

কবে থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে? কোম্পানি দুটি বলছে, যদি আগামী মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে এফডিএ অনুমোদন দেয় তাহলে অনুমোদন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ফাইজার ও বায়োএনটেক।

এই ঘটনা হবে ভ্যাকসিন তৈরির ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য। কেননা জেনেটিক কোড পাওয়ার দশ মাসের মাথায় ভ্যাকসিন অনুমোদন পাচ্ছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার গড় সময় প্রায় আট বছর।

ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে করা আবেদন বিশ্বে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের এই পথচলার জন্য মাইলফলক।

এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর? ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার আরও বিস্তারিত ফলাফল আসতে শুরু করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিন সব বয়স, বর্ণ ও নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করে।

বিশ্বজুড়ে ৪১ হাজারের বেশি মানুষের দেহে দুটি ডোজ পুশ করার পর প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ভ্যাকসিনটির এমন কার্যকারিতার কথা গত সপ্তাহে জানিয়ে বলা হয়, ভ্যাকসিনটির তেমন কোনো পার্শ্বিপ্রতিক্রিয়াও নেই।

এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিনটি। এ পদ্ধতিতে ভাইরাসের জেনেটিক কোড ইনজেকশনের মাধ্যমে মানবদেহে দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে; যা মোকাবিলা করবে করোনার সংক্রমণ।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২১ নভেম্বর ২০২০, ৪:১৬ অপরাহ্ণ ৪:১৬ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ