ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। দেশটির বহুল কাঙ্ক্ষিত বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। আগামী ১৭ নভেম্বর অবসর নেবেন। ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নে গগৈ।
রঞ্জন গগৈয়ের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৮ নভেম্বর আসামের ডিব্রুগড়ে। তার বাবা কেশবচন্দ্র গগৈ ১৯৮২ সালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হন। তার বেড়ে ওঠা ডিব্রুগড়েই। সেখানে পড়াশোনা শেষে দিল্লিতে চলে আসেন উচ্চশিক্ষার জন্য।
দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক করেন গগৈ। পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৭৮ সালে বার কাউন্সিলে যোগ দেন তিনি। তারপর গৌহাটি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন।
২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই হাইকোর্টেরই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে যোগ দেন।
২০১২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। তার ছয় বছর পর ২০১৮ সালে দীপক মিশ্র অবসর নেয়ার পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হন।
রঞ্জন গগৈয়ের স্ত্রী রূপাঞ্জলি গগৈ। তাদের দুই সন্তান রক্তিম এবং রেশমি। দুই সন্তানই আইনজীবী। রঞ্জন গগৈয়ের ভাই অঞ্জন গগৈ ভারতীয় বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে যে চারজন বিচারপতি তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন, গগৈ তাদের অন্যতম।
এই গগৈর বিরুদ্ধেই আবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন শীর্ষ আদালতের এক নারীকর্মী। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন তিনি। অমিতাভ বচ্চনের আয়কর সংক্রান্ত মামলা, আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালুর মামলা তার অন্যতম।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১০ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০৪ অপরাহ্ণ ১১:০৪ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…