রাজনীতি

বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করবে আ’লীগ

সদ্যসমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া পদধারী নেতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আ’লীগ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হতে পারে।

আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহায়তা করা মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেয়া হবে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে। এছাড়া এসব বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সহায়তাকারীদের শনাক্তে কাজ করবে আওয়ামী লীগ সভাপতির গঠিত ৮টি সাংগঠনিক টিম।

অভিযুক্তদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে দ্রুত জমা দিতে টিমগুলোর সমন্বয়কারীদের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারসহ কঠোর শাস্তি দাবি করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। শুধু তাই নয়, দলের পদ-পদবি ধারণ করে বিদ্রোহীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছেন এমন মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদেরও কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক দলীয় সভাপতির উদ্দেশে বলেন, বিদ্রোহী ও তাদের সহায়তাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যতে অন্যরা উৎসাহিত হতে পারে।

নেতাদের এমন বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত দেন। একইসঙ্গে যারা বিদ্রোহীদের সহায়তা করেছেন এমন পদধারী নেতাদের কেন বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তও দেন তিনি। তিন সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে বৈঠকে উপস্থিত আরেকটি সূত্র জানায়, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। পরে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ করা হবে। সেখানে সন্তোষজনক জবাব না পেলে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। বিদ্রোহীদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধেও একই সিদ্ধান্ত হয়। আর বিদ্রোহী প্রার্থী বাছাই ও তাদের সহায়তাকারীদের তালিকা করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ৮টি সাংগঠনিক টিমকে।

বৈঠকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে জোরালো আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানান।

এছাড়া বৈঠকে ৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন, ৭ আগস্ট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন, ১৫ জাতীয় শোক দিবস, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা দিবস, ২৪ আগস্ট আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও ২৭ আগস্ট কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৩ জুলাই ২০১৯, ৭:২৩ অপরাহ্ণ ৭:২৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ