আন্তর্জাতিক

নিয়মিত মসজিদ পরিচ্ছ্ন্ন করতেন মুরসি

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসির আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত গোটা মুসলিম বিশ্ব। আদালতের এজলাসে তার মৃত্যু সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

দেশটির একনায়ক সিসি সরকার এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক দাবি করলেও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি উঠেছে।

মুরসির মৃত্যুতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, রাষ্ট্রপ্রধান ও নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে বহু সাধারণ মানুষকেও। মুরসির সংগ্রামী জীবনের নানা বিষয় তুলে ধরে প্রশংসা করছেন সবাই।

বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি, বন্ধুবান্ধব, ভক্ত অনুরক্ত এবং প্রতিবেশীরাও মোহাম্মদ মুরসির সংগ্রামী জীবনের নানাদিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করে শোক প্রকাশ করছেন।

মোহাম্মদ মুরসির আমেরিকার দুই প্রতিবেশীও নিজেদের আবেগ সংবরণ করতে পারেননি। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালে মুরসি কী করতেন সেটাই বলেছেন এই দুই প্রতিবেশী।

পড়ালেখার সুবাধে বেশ কয়েকটি বছর মুরসি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৫ সালে মিসরের ফেরার আগ পর্যন্ত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন তিনি।

সাঈদ আল গামিদি নামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৌদি এক নাগরিক মুরসিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে একটি টুইট করেছেন।

তিনি লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুরসি আমার প্রতিবেশী ছিলেন। প্রতিদিন ফজরের আজানের আগেই স্ত্রীকে নিয়ে মসজিদে আসাটা ছিল তার নিয়মিত অভ্যাস। তারা উভয়ে নিয়মিত মসজিদ-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করতেন। নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তেন। ফজর নামাজ পড়ে মসজিদ ত্যাগ করতেন মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসি।

কোনোদিন যদি ওই মসজিদে আজান না হতো, তাহলে তার কথাই আমরা স্মরণ করতাম। তিনি তখন আজান দিতেন।

লসএঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ সৌদি নাগরিক ড. মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ পড়াশোনার সময়ই মুরসিকে চিনতেন। টুইটারে তিনি লেখেন, হে আল্লাহ! মোহাম্মদ মুরসির ওপর রহম করো। তাকে ক্ষমা করো। তার ভুলগুলো মার্জনা করো। তিনি কতই না সুন্দর মানুষ এবং একজন সুপুরুষ ছিলেন।

ড. মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আরো লিখেন, মোহাম্মদ মুরসি রাজনীতিতে আসার আগেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। সেসময়ই তিনি কোরআনে কারিমের হাফেজ ছিলেন। মসজিদ দেখাশোনা করতেন। মসজিদ সংশ্লিষ্টদের খোঁজখবর রাখতেন। এমনকি তাকে নিয়মিত মসজিদ পরিষ্কার করতেও দেখেছি। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৯ জুন ২০১৯, ৭:৪০ অপরাহ্ণ ৭:৪০ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ