কাঁকুড় বর্ষজীবী লতাজাতীয় গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cucumis melo Linn। এটি Cucurbitaceae এর পরিবার ভূক্ত। এই গাছ জমিতে লাগিয়ে লতিয়ে বড় হয়। বাংলাদেশে এর কাঁচা ফলকে কাঁকুড় বলা হয় এবং পাকালে একে বলে ফুটি। বৈশাখ - জৈষ্ঠ মাসে কাঁকুড়ে চাষ করা হয়। কচি কাঁকুড়ে কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়।
বড় হলে তরকারী রান্না করে খাওয়া হয়। কোনও কোনও কাঁকুড় স্বাদে তিক্ত হয়। এটা খাওয়া যায় না। বাংলাদেশের বহু স্হানে এর চাষ হয়। এছাড়াও ভারতের অনেক প্রদেশে বেলে মাটিতে এবং নদ- নদীর চড়ে এর চাষ করা হয়ে থাকে। এই ফল সারাবছর জন্মে। কাঁকুড়ের বীজ পাতা ও মূল নানারকম ঔষধরূপে ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিগুণ: অন্যতম দেশী ফল কাঁকুড়। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি সব বয়সের মানব দেহের জন্য বেশ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁকুড়ে ৩৪ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। এবং ০.৯ গ্রামে রয়েছে খাদ্য আঁশ। ফলিক এসিডে পূর্ণ এই ফলটি গর্ভবতীদের জন্য খুব উপকারী। কাঁকুড় কোলেস্টেরলমুক্ত যার ফলে কাঁকুড় খেলে কোন ক্ষতি হয় না।
উপকারিতা: ১। কাঁকুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফলিক এসিড যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। তাই গর্ভবতী নারীরা খেলে অনেক উপকার হয়। ২। কাঁকুড়ে চিনির পরিমান কম থাকে যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা খেলে উপকার হয়। ৩। কাঁকুড়ে রয়েছে প্রচুর খাদ্য আঁশ যা হজম শক্তি করতে সাহায্য করে। ৪। অ্যাসিডিটি, আলসার,নিদ্রাহীনতার সমস্যা কাঁকুড়ে খেলে ভালো হয়। ৫। অরুচি ভাব হলে কাঁকুড়ে রস ৩-৪ চা চামচ করে প্রতিদিন সকালে খেলে অরুচি ভাব দূর হয়। ৬। প্রস্রাব কম হলে মিষ্টি কাঁকুড়ের রস নিয়ে তার সাথে পানি মিশিয়ে শরবতের মতো করে খেলে প্রস্রাব স্বাভাবিক পরিমানে হবে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৪ জুন ২০১৯, ১১:২৭ অপরাহ্ণ ১১:২৭ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…