রাত পোহালেই ভারতের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এর আগেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়েন করেছেন দেশটি। বুধবার (২২ মে) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সতর্ক করা হয়।
ভোট গ্রহণের পর থেকেই বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। তার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে গত মঙ্গলবার রাতে এক তৃণমূল নেতার উপরে হামলা চালানো হয়েছে।
এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। ফলপ্রকাশের পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক হানাহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রাজনৈতিক হিংসা রুখতে মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরই নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের ৫৮টি গণনাকেন্দ্রের প্রহরার জন্য মোতায়েন ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও ফলপ্রকাশ পরবর্তী হিংসা রুখতে আরও ২০০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করেছে কমিশন।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই আশঙ্কিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাজ্যে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে।
গোয়েন্দাদের দাবি, নির্বাচনী প্রচার ঘিরেও এ রাজ্যে বড় ধরনের একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা কলকাতায় অমিত শাহ রোড-শো প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি, নির্বাচনের দিন একাধিক প্রার্থী আক্রমনের মুখোমুখি হয়েছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুরে।
ফল প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সাথে বিকেল গড়ানোর আগেই স্থানে-স্থানে সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে বলেও সংস্থাটির ধারণা।
সেই সাথে বলা হয়েছে, ইভিএমে কারচুপি বা ইভিএম বদল হতে পারে, এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই তুলেছে তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল একাধিক বার সেই কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এবং দলগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা কেন্দ্রে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন তাদের কর্মী-সমর্থকেরা।
পাল্টা রাস্তায় নেমেছে বিজেপিও। ফলে বেশ কিছু জায়গায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। সংঘাত তৈরি হচ্ছে কমিশনের আওতাধীন প্রশাসনের সঙ্গেও।
ফলাফলের দিন কোচবিহারে গণনাকেন্দ্রের পাশে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস তৈরি করা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে প্রকাশ্যে আলোচনা হয় রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এ ধরণের ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই হচ্ছে। সে কারণেই গণনা চলাকালীন এবং তার পরবর্তী সময়ে হিংসা ঠেকাতে সব রকম ব্যবস্থা নিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২২ মে ২০১৯, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…