চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় চার কিলোমিটারের একটি কাঁচা রাস্তা পাকা করার মাত্র তিন দিনের মধ্যেই কারটেটিং উঠে গেছে। গত মঙ্গলবার রাস্তাটি পাকা করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসী দেখেন, পিচ ঢালাই রাস্তা কারর্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কচুয়া-কাশিমপুর সড়কের মনপুরা গ্রামের ভেতরে চার কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার টেন্ডার হয় ২০১৫ সালে। প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় রাস্তাটি করার জন্য। রাস্তাটির কাজ ২০১৫ সালে শুরু হলেও দুবছর ফেলে রাখা হয়। এরপর ২০১৯ কাজ শুরু হয়ে চলতি মাসে তা শেষ হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরু থেকেই নানা অনিয়ম ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করা হয়। প্রায় দুই বছর রাস্তার কাজ সম্পন্ন না করে ফেলে রেখে দেওয়ায় পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়।স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সাকিবসহ অন্যরা বলেন, রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত ইট, বালু, পাথর সবই নিম্নমানের। রাস্তার দুপাশের রেলিং এর ক্ষেত্রে ভালো মানের ইট ব্যবহার না করে ব্যবহার করা হয় পিকেট, যা মাটি দিয়ে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।
ওই বাসিন্দারা আরও বলেন, পিচ ঢালাই দেওয়ার আগে রাস্তা পাকা করায় বিটুমিন না দিয়েই পিচ ঢালাই দেওয়া হয়।তবে বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন কাজের ঠিকাদার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুমন প্রধানীয়া।
তিনি দাবি করেন, এলাকার লোকজন হাত দিয়ে পিচ ঢালাই উঠে ফেলছে।এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমি এক কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখেছি। কাজ নিম্নমানের হওয়ায় পুণরায় এ কাজ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছি।’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলীমা আফরোজ বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি, নিম্নমানের কাজ বন্ধ করতে। গতকাল কাজ বন্ধ করার পর আজ শুক্রবার আবার সেই নিম্নমানের কাজ শুরু হওয়ার খবর পেয়ে আবার নির্দেশ দিয়েছি, ‘রাস্তার কাজ ঠিকমতো করুন, নইলে এ কাজের বিল বন্ধ থাকবে।’ সূত্রঃ ইউএনবি
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৭ মে ২০১৯, ১১:০৭ অপরাহ্ণ ১১:০৭ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…