অন্যান্য

‘তুই হিন্দুর চাইতেও খারাপ’ রমজান মাসে প্রকাশ্যে শরবত বিক্রি নিয়ে বিতর্ক

রাজধানীতে রমজান মাসে প্রকাশ্যে শরবত বিক্রি করায় এক শরবত বিক্রেতাকে হেনস্থা করেছেন সাদা পোশাকের এক পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় উপস্থিত জনতার রোষের মুখে ক্ষমা চেয়ে সটকে পড়তে বাধ্য হন পুলিশের ঐ কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, 'যাদুঘরের সামনে শরবত বিক্রেতাকে চরম হেনস্থা করছিলেন ওয়াকিটকি হাতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা। শরবত বিক্রেতার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলছিলেন। তিনি সমানে চার্জ করছিলেন শরবত বিক্রেতাকে, সে মুসলিম না হিন্দু তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। সর্বশেষ বলেছেন তুই হিন্দুর চাইতেও খারাপ, না হলে তুই রমজান মাসে প্রকাশ্যে শরবত বিক্রি করিস'?

এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়,ওয়াকিটকি হাতে সাদা পোশাকের পুলিশের এক কর্মকর্তা শরবত বিক্রেতাকে শাসাচ্ছিলেন। এসময় উপস্থিত সাধারণ মানুষের তোপের মুখে মুখে পড়েন তিনি। একসময় উপস্থিত জনতার কাছে ক্ষমা চেয়ে ঐ জায়গা থেকে সটকে পড়েন ঐ পুলিশ কর্মকর্তা।

তবে অভিযুক্ত ঐ পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় জানা যায়নি। অপরদিকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তে এ নিয়ে মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। একেকজন এ নিয়ে একেক ধরণের মন্তব্য করতে থাকেন।

মুশতাক হোসাইন নামের একজন লিখেছেন, ‘রমজান মাসে রাস্তায় শরবত বিক্রী করা কি বেআইনী? দেশটা কি তালেবানী হয়ে গেল? স্বেচ্ছায় প্রকাশ্যে খাবার বিক্রী বন্ধ করা রোজাদারদের প্রতি সম্মান জানানো। কিন্তু কেউ রুটি রুজির নিদারুণ প্রয়োজনে রাস্তায় খাবার বিক্রী করতেই পারে, সে মুসলমান হলেও। এটা বেআইনীও নয়, ধর্ম বিরুদ্ধও নয়’।

হামিদুল ইসলাম নামে আরেক জন লিখেছেন, ‘রমজান মাসে রাস্তার পাশে সরবত বিক্রি করা ধর্মীয় ও আইনগত কোনো দিকথেকেই কোন অপরাধ না হলেও বিক্রি করতে না দেয়ার মাধ্যমে একজন নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে আইনত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

অপরাধ যিনি করলেন তাকে বাধা না দিয়ে উল্টো উৎসাহ প্রদান, সহযোগিতা করা এবং অপরাধের শিকার ব‍্যক্তির দিকে তেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে জনৈক পুলিশ সদস্য নিজেই আইনত অপরাধ করেছেন। এখন দেখার অপেক্ষা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেন’।

সুমাইয়া আকতার নামের একজন লিখেছেন, সত্যই আপনাদের প্রতিবাদ আজ আমাকে মুগ্ধ করেছে, এমন দেশ কি আমরা চাইছিলাম যেখানে প্রসাশনে লোক বলে নিজেকে দাবি করে অন্য ধর্মকে হেয় করবে’! রুমানা নাহিদ লিখেছেন, শরবত বিক্রি হারাম আর রমজান মাসে প্রতিদিন ধর্ষণ করা কি তাহলে জায়েজ, খাবারে ভেজাল, ঘুষ দূর্নীতি কি যায়েজ?

অপর এক ব্যাক্তি লিখেছেন, কেউ কাউকে হেয় না করে যার যার ধর্ম তারা তারা সুন্দর ভাবে পালন করলেই তো হয়। ইসলামে অন্য ধর্মের মানুষের সাথে এই ধরনের আচরনের অনুমতি নাই বরং পাপ হবে পাপ। ইসলামে ধর্ম নিয়া বারাবারি ও নিষেধ আছে।

যারা এই বারাবারি করে তাদের উচিত ভালো করে কোরআন ও হাদিস জানা। ইসলামে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সম্মান দেখাতে বলা হয়েছে এবং শান্তিপুর্ণ ভাবে যার যার ধর্ম পালনের নির্দেশ দেয়া আছে।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১১ মে ২০১৯, ৮:০৫ অপরাহ্ণ ৮:০৫ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ