আল্লাহর সঙ্গে বান্দার প্রেমের সম্পর্ক গড়ার অন্যতম মাস রমজান। এ মাস রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস। অগণিত অসংখ্য পূণ্য লাভের মাস এটি। সাহরি ও ইফতার এ মাসের অন্যতম ইবাদত। ফেসবুক টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইফতার ও সাহরির বাহারি খাবারের ছবি পোস্ট নিয়ে জারি করা হয়েছে ফতোয়া।
অথচ এ মাসের ইবাদতে নিয়োজিত ব্যক্তির বিগত জীবনের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। এ মাস জুড়ে একশ্রেণীর মানুষ ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় সামান্য বিষয়ে নিজেদের আমলগুলোকে বরবাদ করে দিচ্ছে।
সাহরি ও ইফতার সামগ্রীর বাহারি সমাহারের ছবি পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়টি গত সোমবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। এ বিষয়টি নিয়ে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় ফতোয়া বিভাগ থেকে একটি ফতোয়া জারি করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ইফতার- সাহরির খাবারের ছবি কিংবা আভিজাত্যে ভরপুর খানাপিনার ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকে মুসলিম উম্মাহ।
ইফতার ও সাহরির আভিজাত্যপূর্ণ খাবারের ছবি মানুষের ইবাদতের নিয়তের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে। সুতরাং খাবারে এ ধরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট না করাই উত্তম। এ ধরনের পোস্টের কারণে রোজাদারের সব আমল বরবাদ হয়ে যেতে পারে বলে জানায় তারা।
মনে রাখতে হবে
রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে রহমত বরকত ও ফজিলত হাসিলের জন্য অনেক আমল করতে হয়। তেমনি অনেক মন্দ কাজও ছেড়ে দিতে হয়। আর ইফতার কিংবা সাহরির খাবারের ছবি যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রদর্শন মন্দ কাজের একটি। এ অনর্থক কাজ এড়িয়ে চলা ঈমান ও আমলের একান্ত দাবি।
সুতরাং রমজানসহ পরবর্তী সময়েও ইবাদতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো কাজের খাবারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইবাদতকে মূল্যহীন করা থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
মুসলমানদের রমজানের শিক্ষা ও ফজিলত লাভে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় ফতোয়া বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ফতোয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৯ মে ২০১৯, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…