লাইফস্টাইল

সেহরি খাওয়ার পর যে ৫টি কাজ কখনোই করবেন না

সেহরি খাওয়ার পর – সেহরি খাবার পর পরই আমরা এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নিই সেহরি খাবার পরই কোন কাজগুলো করা উচিত নয়:

১. সেহরি খাবার শেষের হবার পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে কোন ফল খাবেন না। এতে গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

২. সেহরি খাবার পরই ধুমপান করবেন না। আপনি সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলেও যতটুকু না ক্ষতি হয়, সেহরি খাবার পর একটি সিগারেট বা বিড়ি তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করবে আপনার শরীরের।

৩. সেহরি খাবার সাথে সাথে চা খাবেন না। চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে।

৪. বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। সেহরি খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেঁকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। তাই কেউ বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই কোমরের বাঁধন ঢিলা করে নিতে পারেন।

৫. গোসল করবেন না। সেহরি খাবার পরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে।

কাঁচা আমের রস ব্যায়ামের চাইতেও উপকারী! কাঁচা আমের আরও যত স্বাস্থ্য উপকারিতা

বাজারে এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে কাঁচা আম। পাকা আম খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হলেও কাঁচা আমেরও গুণের শেষ নেই।পুষ্টিবিদরা জানান, গ্রীষ্মকালে কাঁচা আমের রস ব্যায়ামের চাইতেও উপকারী।

এই রস শরীরকে তীব্র গরমের প্রভাব থেকে রক্ষা করে , পানিশূণ্যতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং আয়রন বের হওয়া থেকেও বাঁচায়। গ্রীষ্মকালে প্রচুর ঘাম হয় বলে পানিশূণ্যতার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সময় বেশি পরিমানে আমের রস পান করা উচিত। পাকস্থলীর যেকোন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা আম। এছাড়া এটি সকালে বমি বমি ভাব, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কাঁচা আম হজমশক্তিও বাড়ায়।

কাঁচা আমে থাকা নিয়াসিন হৃদরোগের জন্য বেশ উপকারী। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কাঁচা আম শুকিয়ে আমচূড় করা হয়। এটি অথবা শুকনো কাঁচা আমের গুড়া স্কার্ভি নামক চর্মরোগ সারাতে ব্যবহার করা হয়। কারণ কাঁচা আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া এটি রক্তের লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

কাঁচা আম যকৃৎ এবং এই সম্পর্কিত যেকোন ধরনের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। এক টুকরো কাঁচা আম চিবিয়ে খেলে তা খাবারে থাকা ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এটি ফ্যাট শোষণ করতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক টুকরা কাঁচা আম চিবিয়ে খেলে খাওয়ার পর অবসন্ন ভাব দূর হয়। এটি শরীরের কার্যক্ষমতাও বাড়ায়।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৮ মে ২০১৯, ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ