ব্যাপক প্রচারণার পরেও নিরাপদ আশ্রয়ে না গিয়ে বসতঘরে অবস্থান করায় বরগুনায় ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন নূরজাহান বেগম (৬০) ও তাঁর নাতি জাহিদুল (৫)।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ারখাল এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বরগুনার মাঝেরচর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পথে উত্তাল বিষখালী নদীতে ডুবে তরিকুল নামের এক শিশু নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন, ব্যাপক প্রচারণার পরও নিরাপদ আশ্রয়ে না গিয়ে চরদুয়ানির কালিয়ারখাল এলাকার একটি কাঠের ছোট্ট ঘরে বৃদ্ধা নূরজাহান ও তাঁর চার স্বজন অবস্থান করেন। ঝড় শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে তাঁদের বসত ঘরের ওপর একটি গাছ উপড়ে পড়লে সবাই ঘরের নিচে চাপা পড়ে। পরে খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা নূরজাহান ও তার নাতি জাহিদুলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহত অন্য তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ফণীর প্রভাবে আজ শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বরগুনায় কোনো বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ থাকে সব ধরনের মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ। বিকেল ৫টায় বিদ্যুৎ এলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। বর্তমানে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। বরগুনা থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো লঞ্চ।
জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফণীর আঘাতে এ পর্যন্ত জেলার সাড়ে আট হাজার ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে পাওয়া গেছে। এবার ফণীর আঘাতে বেড়িবাঁধ ভাঙার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ৪৫ হেক্টর ফসলি জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য জেলার ৪২টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ১৭ হাজার করে টাকা এবং পাঁচ টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৪ মে ২০১৯, ৯:১৪ অপরাহ্ণ ৯:১৪ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…