ভারত

ভারতে ফণী’র তাণ্ডব, নিহত ১০

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে তাণ্ডবের প্রভাবে বজ্রপাত ও গাছ উপড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে ৮ জন ও উড়িষ্যায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী’র তাণ্ডবে উত্তর প্রদেশে ৮জন এবং ওড়িশায় ২জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন, খবর দ্য হানস ইন্ডিয়া ও হাফপোস্ট।

এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে উত্তর প্রদেশের চান্দাওলিতে জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে চার ব্যক্তির। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও পাঁচ জন। একই জেলায় গাছ উপড়ে প্রাণহানি ঘটেছে এক বৃদ্ধ ব্যক্তির।

একই রাতে সোনেভারদা জেলার পান্নুগঞ্জে বজ্রপাতে মারা যান এক তরুণ। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় দুই ভাই। তাদের পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার (৩ মে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের।

এদিকে, উড়িষ্যার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার বিষ্ণুপাডা সেঠি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি দুই জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে পারবো। এর মধ্যে একজন, আশ্রয়কেন্দ্রে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ মারা গেছেন। অপর একজন আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝড়ের মধ্যে বাইরে যান। সেসময় তার ওপর একটি গাছ উপড়ে পড়লে তিনি মারা যান।

উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে দ্য হিন্দু জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে গাছ উপড়ে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার প্রদেশটির কেন্দ্রাপারা জেলায় এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী সমুদ্র উপকূলবর্তী গ্রাম দেবেন্দ্রনারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি কমিশনার।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অঞ্চলটিতে উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছ। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হচ্ছে ভারী বর্ষণ।

এদিকে বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, গোপালপুর ও পুরীতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফণী’র প্রভাব পড়ার কথা থাকলেও তা পুর্বাভাসের আগেই সকাল ৮টার দিকে প্রভাব বিস্তার করতে দেখা যায়। এর পর সকাল নটার পরে ফণি আছড়ে পড়ে পুরীতে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। ঝড়ের গতি দ্রুত বেড়েই চলছে। এই গতি সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার হতে পারে।

এদিকে ফণীর আঘাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওড়িশার পুরী, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। যে পথে ফণী এগিয়ে যাচ্ছে সে পথে ওড়িশার ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টি শহর পড়বে।

ফণীর যাত্রাপথ থেকে ১০ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে ওড়িশা সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৪ হাজার ৮৫২ সাইক্লোন এবং বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আপাতত, ওই ১০ লাখ মানুষের ঠাঁই হচ্ছে এই আশ্রয়কেন্দ্রই।

তবে শক্তিশালী এ ঝড়টিকে কেন্দ্র করে কন্ট্রোল রুম খুলেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। ফণী নিয়ে খবরাখবর বা যে কোনও সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩৮-এ ফোন করতে বলা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মোট ১৪৭টি ট্রেন।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৩ মে ২০১৯, ৪:১৭ অপরাহ্ণ ৪:১৭ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ