চাকরি

জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ভাবনা কী?

বাংলাদেশের আসছে সাধারণ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের সাথে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা নির্বাচনে কীভাবে অংশ নেবেন সেটি বেশ কৌতূহল তৈরি করেছে। কারণ বিএনপি সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামের নতুন জোটের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি পুরনো ২০ দলীয় জোটও রয়েছে।

সমীকরণ জটিল হওয়ায় আরেকটি কারণ হচ্ছে, বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের অন্য শরীক দলগুলোর জামায়াতে ইসলামী বিরোধী অবস্থান রয়েছে। বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।

মি: আহমদ জানান, বিএনপির মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে দুই ধরণের মতামত আছে। একটি অংশ মনে করছে যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচন করলে কোন ক্ষতি নেই।

আরেকটি অংশ মনে করে, ধানের শীষ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের নির্বাচন না করাই ভালো। আসন ভাগাভাগির বিষয় নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাস এ কমিটির সদস্য।আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে তারা বিভিন্ন দলের সাথে কথা বলবেন। এরপর সে কমিটি একটি খসড়া তৈরি করে স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠাবে। বিএনপি মনে করছে ১০ শতাংশ নিয়ে জোটের শরীক দলগুলোর সাথে জোরালো দরকষাকষি হতে পারে।

মি: আহমদ বলেন, "যেখানে আমাদের ভালো প্রার্থী আছে সেটাকে আমরা চাইবো না যে বিসর্জন দিতে। একটা বিষয়ে সবাই একমত যে আমাদের এমন প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া উচিত যার জেতার সম্ভাবনা আছে।"

এদিকে আজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবে। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান গত বুধবার বলেছেন, তারা জোটের ভিত্তিতেই নির্বাচনে অংশ নেবেন। জামায়াতের এই নেতা ধারণা দিয়েছেন যে তাদের ৫০-৬০ জন এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন।

ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় বিএনপি'র সাথে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি তোলে ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা। বিএনপি যেন জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা ত্যাগ করে - এমন পরামর্শও দেয়া হয় তাদের।

এরকম পরিস্থিতিতেও কোনো একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেন মি. রহমান। "একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে যদি সফল করতে হয় তাহলে সবাইকে বড় মনের পরিচয় দিতে হবে", বলেন মি. রহমান।

একইভাবে যেসব আসনে জামায়াতের নেতারা প্রার্থিতা করবেন, সেসব আসনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের কোন ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

এখানে জামায়াতে ইসলামী আসার কোন সুযোগ বা সম্ভাবনা আছে বলে আমরা মনে করছি না। জামায়াতে ইসলামীর দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারলেও তাদের নেতারা নিবন্ধিত দলের প্রতীক কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন।

যেখানে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রার্থী হবে সেখানে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দেবে কি না? এমন প্রশ্নে সুব্রত চৌধুরী বলেন, "জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেখানে প্রার্থী দেবে সেখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী থাকার কোন প্রশ্নই আসেনা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ৩০০ আসনে সর্বসম্মতভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে।"

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ৮:২৯ অপরাহ্ণ ৮:২৯ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ