আবহাওয়া

যাঁরা এখন ক্ষমতাবান!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এরই মধ্যে দিয়ে মন্ত্রিসভার ক্ষমতা সীমিত হয়ে গেলো। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাবান রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশন। কার্যালয়ের রুটিন ওয়ার্কের মধ্যে সীমিত দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রশাসনের রদবদল এবং নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রদবদল, পুলিশ প্রশাসনের রদবদল কোনো কিছু্ই এখন আর মন্ত্রিসভার কাছে থাকছে না। সব কিছুই নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ীই করতে হবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খু্বই কম। তবে একটা সময় রাষ্ট্রপতি অনেক ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন, সেটি হলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্বে চলে যায়।

নির্বাচন কমিশন হলো সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করেই নির্বাচন কমিশন সকল দায়িত্ব পালন করেন। কাজেই, রাষ্ট্রপতি হলো বর্তমানে সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি।

বর্তমান সময়ে দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ঘিরেই নির্বাচন কমিশন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত থাকবে।

মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বও থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ ছাড়া কোনো পদোন্নতি বা বদলি করা যাবে না। তাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনে কিভাবে কাজ করবে, সেটার ওপরই নির্ভর করবে সবকিছু।

বর্তমান সময়ে তৃতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিটি হলেন পুলিশের প্রধান আইজি। পুলিশের পুরো প্রশাসনকে নেতৃত্ব দেন আইজি। কাজেই, পুলিশের আইজির ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচনের সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকতে হয়।

নির্বাচনে ক্যাবিনেট সচিব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যাবিনেট সচিবের মেয়াদ শেষ হচ্ছিল আগামী ১৩ ডিসেম্বর। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তাঁর মেয়াদ চুক্তিভিত্তিক ১ বছর যোগ করা হয়েছে।

অবশ্য এ নিয়ে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তাদের মধ্যে আপত্তি দেখা দিয়েছে। বিকল্পধারা ও জাতীয় পার্টি ইতিমধ্যেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত সকলকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকে তারা এই দাবি জানায়।

এছাড়াও নির্বাচনে বিডিআর, সেনাবাহিনীর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, তাহলেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৮ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৪৫ অপরাহ্ণ ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ