আঙুল চোষা এমন একটি অভ্যাস যা অনেক শিশুর মধ্যে দেখা যায়। তবে এতে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। সাধারণ চার বছর বয়স পর্যন্ত এ অভ্যাস বিদ্যমান থাকে। এর মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে দূর হয়ে যায় অভ্যাসটি। এই সময় পরও যদি এটি দূর না হয় তাহলে আপনার সন্তানের দাঁত ও মুখের তালু বিকৃত হতে পারে। চোষার সময় দাঁত ও তালুতে আঙুলের চাপের ফলে এমনটি হতে পারে। সমস্যার তীব্রতা নির্ভর করে ঘটনার পরিমাণ, তীব্রতা, সময়কাল এবং মুখের কোন জায়গায় চাপ পড়ছে তার ওপর। এতে ওপর ও নিচের চোয়ালও আক্রান্ত হয়। ত্রুটি হয় কথা বলায় বা শব্দ উচ্চারণেও।
চিকিৎসকরা বলেন, আঙুল চোষার ঘটনায় সবসময়ই যে দাঁত বা মুখের ক্ষতি হয় তা নয়। আঙুলটি কেবল আলতোভাবে মুখের মধ্যে রেখে দিলে সাধারণত কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু এটি ভেতরে সক্রিয় থাকলে শিশুর প্রথমবার যে দাঁত ওঠে তার ক্ষতি হয়। যদিও স্থায়ী দাঁত ওঠার পর এই অভ্যাস আর থাকে না। কিন্তু আঙুলটি ভেতরে সক্রিয় থাকলে দাঁতের সারিটি বাঁকা ও বেঢপ হয় এবং দাঁত ও চোয়ালের ক্ষতি হয়। তাছাড়া এতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মুখে প্রবেশ করে পেটের পীড়া বা অন্য রোগ হতে পারে।
প্রতিকারঃ অভ্যাসটি যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য জন্মের পরপরই মুখে আঙুল ঢোকাতে দেখলেই নিপল বা ওই জাতীয় কিছু একটা সেখানে ধরবেন। তবে বার বার ধরলে একই সমস্যা হতে পারে। স্কুলে প্রবেশের আগে শিশুকে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করতে হবে। কেননা, স্কুলে আরেকটি সমস্যা হতে পারে- তা হলো টিজিং।
যদি আপনার শিশু সন্তান নিজের ইচ্ছায় এটি বন্ধ না করে মনে রাখবেন থেরাপি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। বরং শিশুটির চেয়ে আপনি নিজে খেয়াল রাখুন, মুখে আঙুল দিতে দেখলেই সরিয়ে দিন। শিশুকে শান্তভাবে বুঝিয়ে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে তার নিজের ইচ্ছা দেখলেই পুরস্কার দিন বা প্রশংসা করুন। ঘুমের ভেতর মুখে আঙুল দিতে দেখলে সরিয়ে দিন। আসলে, বিষয়টি নির্ভর করবে সন্তানের খারাপ অভ্যাস দূর করতে আপনি নিজে কতটা মনোযোগী।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৮ নভেম্বর ২০১৮, ৫:৫৯ অপরাহ্ণ ৫:৫৯ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…