রাজশাহীতে দুই মাথা বিশিষ্ট একটি ষাঁড়কে দেখতে বাজার থেকে বাজারে আয়োজন করা হচ্ছে এক প্রদর্শনীর। প্রতিদিন দশ টাকার বিনিময়ে এই ষাঁড়কে দেখছেন স্থানীয়রা। আর এ থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়েই চলছে তিন পরিববারের সংসার।
রাজাবাবুর দুটি মাথা, চারটি শিং। কিন্তু চোখ তিনটি। বিচিত্র শারিরীক গঠনের রাজাবাবুকে দেখিয়ে এখন সংসার চলে এর মালিকের। সেই সঙ্গে আরও দুটি পরিবারের ঘানি টানে রাজাবাবু।
রাজাবাবুর মালিকের নাম মঈন উদ্দিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার দোগাছি বাজারে তার বাড়ি। সাড়ে তিন বছর আগে তার বাড়ির গাভী একটি বাছুরের জন্ম দেয়। তখন থেকে বাছুরটিকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন মানুষ। মঈন উদ্দিন শখ করে বাছুরটির নাম রাখেন ‘রাজাবাবু’। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর মেলায় মঈন উদ্দিন রাজাবাবুর প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।
মঈন বললেন, ‘রাজাবাবুকে দেখার আগ্রহ অনেকের। তাই এখন মেলায় মেলায় নিয়ে ঘোরেন। ১০ টাকার বিনিময়ে তাকে দেখতে দেন। তবে ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি উপলক্ষে এই মেলার আয়োজন করায় রাজাবাবুকে দেখানো হচ্ছে অর্ধেক টাকায়।’
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজাবাবুর জন্য মেলায় তাবু দিয়ে একটি ঘর বানানো হয়েছে। সে ঘরের ভেতর রাখা হয় রাজাবাবুকে। ষাঁড়টি খড় খেতেই ব্যস্ত। তাবুর সামনে বসে মঈন উদ্দিন।
তার ভায়রাভাই এরফান আলী সারাক্ষণ মাইকে দর্শনার্থী ডাকতেই ব্যস্ত। আর মঈনের ফুফাতো ভাই করিম শেখ তাবুর ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে। মঈনকে টাকা দিলেই করিম শেখ দর্শনার্থীদের ভেতরে ঢুকতে দেন।
বৃদ্ধ মঈন উদ্দিন জানালেন, রাজাবাবুর প্রদর্শনী করে তারা প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়েই চলছে তাদের তিনজনের সংসার। তাই রাজাবাবুকে তিনি ভালোবাসেন সন্তানের মতো। জীবনের শেষভাগে এই রাজাবাবুই হয়ে উঠেছে তাদের অবলম্বন।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৩৫ অপরাহ্ণ ১১:৩৫ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…