জার্মানির ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কারও হাতে এমন বিপুল সংখ্যক মানুষের হত্যার ঘটনা ঘটেনি। যে নার্সের হাতে রোগীর সেবা পাবার কথা, অসুস্থের সেবা করে সুস্থ করে তোলার কথা যার সেই নার্সের হাতেই কিনা নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০০ রোগী। ‘সিএনএন’
দুর্ধর্ষ এই সিরিয়াল কিলার নার্স জার্মানির এক পুরুষ, যিনি ১০০ রোগীকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছেন। সম্প্রতি এই হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। নিলস হোয়েগেল (৪১) নামে সিরিয়াল কিলার এই সাইকোপ্যাথ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, ২০০০-২০০৫ সালের মধ্যে উত্তর জার্মানির দুই হাসপাতালে ৩৪-৯৬ বছর বয়সী রোগীর সঙ্গে এমন জঘন্য কাজ করেন।
প্রসিকিউটর ৪১ বছর বয়সী এই নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর রোগীকে এমন অবস্থায় রাখা হয়েছিলে যেখানে তিনি তার এমন নিষ্ঠুর পাণ্ডিত্য দেখাতে পারেন।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বিচারক সেবাস্টিয়ান বুয়েরমান প্রতিজ্ঞা করে জানায় যে, এই মামলায় আলো আসবেই, যে মালমাটি “তমসাবৃত কক্ষের এক ঘর” হিসেবে তিনি আখ্যায়িত করেছেন। আমরা সত্য উন্মোচন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। সত্য উন্মোচিত হবেই।
যদিও জার্মান আইন ব্যবস্থায় কোনো আনুষ্ঠানিক অজুহাত নেই, মি. হোয়েগেল তার বিচারের প্রথম দিনেই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছিলেন। বিচারকের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য কিনা, তিনি উত্তর দিলেন : হ্যাঁ, এসব ঘটনা সত্য বলে স্বীকার করলাম। ‘দা টেলিগ্রাফ’
জার্মানির দুই নার্সিং হোমে কাজ করার সময় ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ১০০ রোগীকে হত্যা করেন হোয়েগেল। এ সময় তিনি রোগীদের শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধের অতিরিক্ত ডোজ প্রয়োগ করতেন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অতিমাত্রায় এসব ওষুধ প্রয়োগের ফলে রোগীদের হার্টের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেত এবং শেষ পর্যন্ত রোগীরা মারা যেত।
২০১৭ সালে ‘এএফপি’র এক প্রতিবেদনে হোয়েগেল ১০৬ জন রোগীকে হত্যা করেছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতদেহগুলোকে আরও বিশ্লেষণ না করে এ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
হোয়েগেলকে প্রথম গ্রেফতার করা হয় ২০১৫ সালে। তখন ২ রোগীকে হত্যা এবং ৪ জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
তদন্তের সময় এক মনস্তত্ববিদের কাছে হোয়েগেল তার হাতে এই বিপুল সংখ্যক রোগী হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। কমপক্ষে গুরুতর ৯০ রোগীকে প্রাণঘাতী মাত্রায় ওষুধ প্রয়োগ করত যাদের মধ্যে ৩০ রোগী নিহত হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
১৩০ রোগীর নিকটজনেরা হোয়েগেলের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনেন যাদের মধ্যে অনেক রোগীর দেহ পরীক্ষা করার সুযোগ নাই।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১ নভেম্বর ২০১৮, ৯:১৪ অপরাহ্ণ ৯:১৪ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…