চাকরি

কে হচ্ছে বিএনপির নেতা?

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার কিছুদিন আগে বিএনপির গঠনতন্ত্রে দলের নির্বাহী কমিটির পদে থাকা ও দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া সংক্রান্ত ৭ নং ধারা সংশোধন করা হয়। এই ৭ নং ধারা নিয়ে সংশোধিত অংশ গ্রহণ না করতে আজ বুধবার ইসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট বলেছে, বিএনপির গঠনতন্ত্রের যে ৭ ধারা বিলোপ করেছিল, সেটি গ্রহণ না করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের পর রায়ের সার্টিফাইড কপি নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবে। গঠনতন্ত্রে যে সংশোধন এনেছিল বিএনপি, নির্বাচন কমিশন সেটি বাতিল করে দেবে। হাইকোর্টের আদেশ পালন করা তাদের বাধ্যতামূলক। কাজেই, এর বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ‘কোর্টের আদেশের কথা আমরা শুনেছি। আমরা যথাসময়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, হাইকোর্টের যে আদেশ রয়েছে, সেটি আমি এখন পর্যন্ত জানি না। হাইকোর্ট যদি এ রকম আদেশ দিয়ে থাকে, তাহলে আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ করবো। চ্যালেঞ্জ করে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাবো।

তিনি বলেন, ‘দলের আভ্যন্তরীণ গঠনতন্ত্র হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হতে পারে না। এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। রায় দেখে আমি বিস্তারিত জানাবো।

খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে বিএনপিতে এমনিতেই সংকট চলছে। আবার আগামীকালের সংলাপ নিয়ে দলের মধ্যে বিভক্তি চলছে। এর মধ্যে নতুন করে ৭ ধারা বাতিল করার ফলে এটা স্পষ্টত, খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া বিএনপির কোন পদে থাকতে পারবেন না। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে বিএনপির নেতৃত্ব কে নেবে?

হাইকোর্টের আদেশ পালিত হলে, দলের চেয়ারপার্সনের পদ থেকে বেগম জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে তারেক জিয়াকে সরে যেতে হবে। তখন বিএনপি হয়ে যাবে একটি নেতৃত্বশূন্য রাজনৈতিক দল। তাহলে এখন বিএনপির নেতৃত্ব কে পাবে?

সেই প্রেক্ষিতে এখন বিএনপির মধ্যেও চিন্তা-ভাবনা চলছে, যদিও হাইকোর্টের এই আদেশ কার্যকর হয়, সেক্ষেত্রে তাদের কি হবে। এমনিতেই হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে দলের মধ্যে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।

হাইকোর্ট তাদের পক্ষে কোন রায় দিতে পারে নি। জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার দন্ড, তারেক জিয়ার মামলাসহ কোন মামলায়ই হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালতে তাদের পক্ষে কোন রায় হয়নি। কাজেই, এ রায় যে তাদের পক্ষে আসবে, তা নিয়ে বিএনপির নিজের মধ্যেই এখন সংশয় রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির মধ্যে এখন নতুন আলোচনা চলছে। কার হাতে যাবে বিএনপির নেতৃত্ব? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ- দলের মধ্যে পূর্ণ কর্তৃত্ব এদের কারোরই নেই। এদেরকে কেউ পছন্দ করে, কেউ অপছন্দ করে। এদের পক্ষে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা সম্ভব নয়।

দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । তবে বিএনপির কেউই মনে করে না যে তিনি দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম।

প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান আসতে পারেন। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়ার স্ত্রী জোবায়দা রহমান তাঁর পাসপোর্ট স্যারেন্ডার করেছেন।

যে কারণে তাঁর এখন বাংলাদেশে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দারও নেতৃত্ব দিতে পারেন। তবে তিনি তেমন একটা পরিচিত মুখ নন। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির নেতৃত্ব একটা নতুন সংকটের মুখে পড়েছে। কে হচ্ছে বিএনপির নেতা?

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১ নভেম্বর ২০১৮, ১:৪৯ অপরাহ্ণ ১:৪৯ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ