কী বলা যায় এই জয়কে? অবিশ্বাস্য ও রোমাঞ্চকর বললেও খুব একটা বেশি বলা হয় না। রেকর্ডের ছড়াছড়ি আর ব্যক্তিগত অর্জনের মাইলফলক স্পর্শ করার দিনে টাইগাররা এতোটাই আধিপত্য চালিয়েছে যে, একবারের জন্যও জিম্বাবুয়ে মাথা তুলতে পারেনি। সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল গত ম্যাচেই। শেষ ওয়ানডের জয়টা তাই বাংলাওয়াশের লজ্জাই দিয়েছে হ্যামিলটন মাসাকাদজার দলকে।
বাংলাদেশ জিতবে এটা অনুমিতই ছিল। তবে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার যে উচ্চতার ব্যাটিং নৈপুণ্য প্রদর্শণ করলেন, তা বহুদিন মনে রাখবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সফরকারীদের দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যকে এই দুই ব্যাটসম্যানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে টাইগাররা টপকে গেছে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। ফলে ৭ উইকেটের স্মরণীয় জয়ে শেষ হল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ভালোই জবাব দেয় বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের নান্দনিক ব্যাটিংয়ে দ্রুত গতিতে এগোতে তাকে টাইগারদের স্কোরবোর্ড।
ইনিংসের প্রথম বলেই লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল স্বাগতিকরা। শূণ্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। এরপর ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফিরে আসে টাইগাররা।
এই দুই ব্যাটসম্যানের করা ২২০ রানের জুটিতে জয়কে এক প্রকার মুঠোবন্দী করে ফেলেছে টাইগাররা। এটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেকোনো জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের। মাত্র ৯২ বলে ১১৭ রানের অসাধারণ এক মতক হাঁকিয়েছেন সৌম্য সরকার। মাসাকাদজার শিকার হওয়ার আগে ইমরুল কায়েসের সাথে জুটিতে বড় লক্ষ্যকেও সহজ বানিয়ে যান তিনি। ৯টি চার ও ৬টি বিশাল ছক্কা হাঁকান এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান।
সৌম্য সরকারের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল কায়েস। ১১২ বলে ১১৫ রান করেন আউট হওয়ার আগে। এর মাধ্যমে টানা ধারাবাহিক ভালো ফর্মকে অব্যাহত রাখলেন টাইগার ওপেনার। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন ইমরুল।
এর আগে প্রথম ম্যাচে ১৪৪ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৯০ রান করেন ইমরুল। ১০টি চার ও ২টি ছয়ের মার রয়েছে তার ইনিংসে। দলীয় ২৭৪ রানে ইমরুল বিদায় নিলে মুশফিক ও মিথুন সহজেই দরকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
শুরুতে ব্যাট করে শন উইলিয়ামসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ২৮৭ রানের বিশাল টার্গেট দেয় জিম্বাবুয়ে। আগের দুই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি এদিন হতে দেয়নি দলটি। বরং সিরিজ জেতা টাইগারদের উপর সফরকারীরা চড়াও হয় ব্যাট হাতে।
১৪৩ বলে ১২৯ রানের অনবদ্য এক শতরান উপহার দেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস। এছাড়া ৭৫ রান করেছেন ব্রেন্ডন টেইলর। বাংলাদেশের পক্ষে ২ উইকেট লাভ করেছেন নাজমুল ইসলাম অপু। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের ২৮৬ রানের এই সংগ্রহও অবশ্য যথেষ্ট হয়নি। বরং টাইগারদের একচ্ছত্র আধিপত্যে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে সফরকারীদের প্রচেষ্টা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২৮৬/৫ (৫০ ওভারে)
টেইলর ৭৫, শন উইলিয়ামস ১২৯*
নাজমুল ২/৫৮
বাংলাদেশ: ২৮৮/৩ (৪২.১ ওভারে)
ইমরুল ১১৫, সৌম্য ১১৭
জারভিস ১/৪৭, মাসাকাদজা ১/৩
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০১ অপরাহ্ণ ১০:০১ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…