সোশ্যাল মিডিয়া

বিশ্বের শীতলতম স্থানের সন্ধান, তাপমাত্রা যেখানে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি!

অ্যান্টার্কটিকার কনকোর্ডিয়া রিসার্চ স্টেশন। পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা এবং দূরবর্তী স্থানগুলির মধ্যে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে তাপমাত্রা থাকে গড়ে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিস্তৃণ বরফের চাদরে ঢাকা আর কখনও কখনও এক মাসেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না।

কনকোর্ডিয়া স্টেশন একটি গবেষণা কেন্দ্র যেখানে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন ১৩ জন বিজ্ঞানী। যারা ফ্রান্স, ইটালি এবং অস্ট্রিয়া থেকে এসেছে। প্রায় অর্ধেক গ্রুপ এখানে গবেষণা করে, বাকিরা স্টেশন চলমান রাখতে সাহায্য করে। এদের মধ্যে দুইজন সাইপ্রেন ভারসিউক্স এবং কারমেন পসনিগ যারা ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার গবেষক।

সাইপ্রেন ভারসিউক্স দলটির নেতা, তিনি একজন গ্লাসিওলজিস্ট যার কাজই হচ্ছে এই শীতল হিমবাহ আবহাওয়ায় কিভাবে বেঁচে থাকা যায় তা নিয়ে গবেষণা করা। কারমেন পসনিগ একটি মেডিকেল গবেষক যে কিনা চরম প্রতিকূল পরিবেশে মানুষের শরীর কিভাবে প্রতিক্রিয়া করে তাই নিয়ে গবেষণা করেন।

বিজ্ঞানী সাইপ্রেন জানান, নয় মাস এখানে শীতকাল। সে সময় বাইরে বেরনো দুষ্কর। তাপমাত্রা এতটাই নীচে নেমে যায় ব্যাকটেরিয়াও বাঁচা সম্ভব নয়। বিস্তৃণ বরফের চাদরে ঢাকা এই এলাকায় অক্সিজেনও কম বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, মাঝে মাঝে মনে হয়ে অন্য গ্রহে বাস করছি আমরা।

শীতকালে এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম জায়গা এটি। আগস্ট মাসে শুধু সূর্যের দেখা মিলে। এখানে জলীয়বাস্প এতটাই নগন্য, যে অক্সিজেনের অভাব হয়।

একদিন সাইপ্রেন ও পসনিগ সিদ্ধান্ত নিল যে এই বৈরি আবহাওয়ায় তারা বাইরে রান্না করে দেখবেন। বিজ্ঞানী সাইপ্রেন জানান, এর থেকে দুষ্কর কাজ পৃথিবীতে নেই। ডিম, নিউট্রেলা, চীজ, মধু, স্প্যাঘেটি যেটাই নেওয়া হোক না কেন সবই বরফে জমে যায় এখানে। স্ট্যাচু বলার আগেই থমকে যায় নিউট্রেলা।

মহাশূন্যে মানুষের যাত্রা নিয়ে গবেষণা করার জন্যে এটাই সব থেকে ভালো জায়গা বলে মনে করেন পসনিগ। কিছুদিন আগে সাড়ে তিন মাসের একটি রাত ছিল ওখানে, পসনিগ সেই অভিজ্ঞতার কথা কখনই ভুলবেন না।

তিনি বলেন, এই শীতল আবহাওয়ায় অন্ধকারের মধ্যে বাইরে হাটা একটি দু: সাহসিক কাজ ছিল। রাতের আকাশ ছিল অনেক বেশি সুন্দর ছিল, আমরা কখনই রাতের আকাশে এতো তারা একসাথে দেখিনি। মনে হয় যেন আমরা সাদা মঙ্গল গ্রহে চলে এসেছি। তার জন্যে এই অস্বাভাবিক পরিবেশে বাস করা পুরষ্কারের মত।

২০০৫ সালে তৈরি হয় কনকোর্ডিয়া রিসার্চ স্টেশন। মানুষের অভিযোজন প্রক্রিয়া (শরীরতত্ত্ব) এবং জ্যোর্তিবিদ্যা গবেষণায় আদর্শ জায়গা হল এটি।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৩৪ অপরাহ্ণ ১১:৩৪ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ